gramerkagoj
শুক্রবার ● ৩ মে ২০২৪ ২০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চট্টগ্রামে বন্ধ সব হাসপাতাল-ক্লিনিক, ভোগান্তিতে সেবা প্রার্থীরা
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৫৭:০০ পিএম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
GK_2024-04-23_66278b14bae34.jpg

চট্টগ্রামে দুইজন চিকিৎসককে মেরে আহত করার ঘটনায় এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত নিজস্ব চেম্বারে কোন ধরনের রোগী না দেখার কথা জানিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল আ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা।
নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর সামনে ঝুলছে ব্যানার তাতে লেখা আছে- সকল প্রকার সেবা থেকে বিরত থাকবেন তারা।
এদিকে রাঙামাটি থেকে শহরে চিকিৎসা নিতে আসেন আমেনা বেগম নামের এক রোগী। তিনি বলেন, ডাক্তারের কাছে এসেছি অনেক দূর থেকে। এখন ডাক্তার নেই। আবার ফিরে যেতে হবে।
এপিক হাসাপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে কোন পরীক্ষা বা রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছেনা। তবে আগে ভর্তি হওয়া রোগীদের দেখছেন ডাক্তাররা।
জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল পটিয়া উপজেলার পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ এনে ডা. রক্তিমকে পেটান আহত রোগীর স্বজনরা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন রক্তিম।
অন্যদিকে পহেলা বৈশাখের দিন (১৪ এপ্রিল) নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগে এনে হামলার শিকার হন হাসপাতালটির দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রিয়াজ উদ্দিন শিবলু। বর্তমানে এই চিকিৎসকও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন।
বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে মঙ্গলবারের পর আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করবো। যদি এরমধ্যে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে যায় তাহলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো কিনা সিদ্ধান্ত নিবো।
এদিকে, বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা না পাওয়ায় একপর্যায়ে রোগীরা ছুটছেন চমেক হাসপাতালের দিকে। রোগীর চাপ বৃদ্ধিতে সেখানে গিয়েও সেবা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ (মঙ্গলবার) রোগীর চাপ বেশি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন চমেক হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ থাকার কারণে সব রোগীরা চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের দিকে আসছেন। এতে রোগীর চাপ বাড়ছে।’
অতিরিক্ত চাপের কারণে রোগীরা চমেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে রোগীর স্বজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন বলেছেন, ‘বোয়ালখালীর কধুরখীল থেকে রোগী নিয়ে এসেছেন সকাল ১১টার দিকে। এর আগে থেকেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী ও স্বজনদের ভিড় ছিল। যার কারণে অনেকে রোগী পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছেন না।’

আরও খবর

🔝