শিরোনাম |
আরব বিশ্ব থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনী শোনা যাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এটি শুধু পদধ্বনী, নাকি প্রকৃতই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকের মতে, রীতিমতো বিশ্বযুদ্ধ চলছে। এখানে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে। তবে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। একইসঙ্গে ইসফাহানের ওপরে ৩টি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে গণমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা। তবে, মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক এবিসি নিউজ এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের একটি স্থানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, শুক্রবার ড্রোন হামলার পর ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, যদি দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালানো হয়, তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসি টিমের প্রধান জেনারেল আহমেদ হাকতালাব এক বার্তায় বলেছেন, ‘যদি জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী আমাদের পরমাণু স্থাপনা ও কেন্দ্রগুলোতে কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ।’ ইসরায়েল যদি সত্যিই পরমাণু স্থাপনায় হামলা করে, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেনারেল হাকতালাব।
শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬ টা) দিকে ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় আইডিএফ। তবে হামলায় ব্যবহৃত ৩টি ড্রোনই ধ্বংস করে দিয়েছে ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা। ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে। এ উত্তেজনা কোন পর্যন্ত গড়াবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।