এবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক এবিসি নিউজ এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের একটি স্থানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানের ইসফাহান বিমানবন্দরে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে কী কারণে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও জানিয়েছে, ইসফাহান, শিরাজ এবং তেহরানসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিমানের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে বিবেচিত নাতাঞ্জসহ ইসফাহান প্রদেশে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক সাইট রয়েছে। সাম্প্রতি ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।
সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয় তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। মূলত ওই হামলার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
তবে ইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এ হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, ইরানে হামলার পর থেকেই চাপে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেয়া হবে সে বিষয়ে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে থেকে তার ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকেই নেতানিয়াহুর ওপর চাপ দেয়া হচ্ছিলো। একই সঙ্গে তার জোট সরকারের মধ্য থেকে যারা তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন তারা এই মুহূর্তে তার ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। তারা ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া চাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবর পাওয়া গেল।