gramerkagoj
বুধবার ● ৮ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
লামা-আলীকদমে টোল আদায়ের নামে গরু থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৪৮:০০ পিএম
জাহিদ হাসান, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
GK_2024-04-04_660e6a1a2e713.jpg

আলীকদম হাটের গরু পরিবহনকালে লামা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে টাকা আদায় করছে ইজারাদার গন। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রতি সোমবার আলীকদম সাপ্তাহিক হাট বসে। স্থানীয় কৃষকরা তাদের গৃহপালিত গরু ছাগল সাপ্তাহিক হাটে ক্রয় বিক্রয় করেন। বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ে ওই হাটের ইজারদারকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত কর রিসিটমূলে পরিশোধ করে থাকেন। এর পর ক্রয়কৃত গরুগুলো লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়ক হয়ে চকোরিয়া ও লামা সুয়ালক সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা জানায়, এসব গরু নিতে তাদেরকে লামা উপজেলা ও পৌরসভার কয়েক স্থানে পুনরায় গরু প্রতি সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ করে টাকা দিতে হয়। ১ এপ্রিল সোমবার লোহাগাড়া নিবাসী সমু সওদাগর নামের একজন ব্যবসায়ী আলীকম হাট থেকে ৮টি দেশীয় গরু কিনেন। তিনি জানান, সেখানে হাটের ইজাদারকে ইউনিয়ন পরিষদ টোল বাবদ হাঁচিল গরু প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। এর পর আলীকদম রেপাড়পাড়া টোল পয়েন্টে রিসিট মূলে একই গরু প্রতিটি থেকে দিতে হয়েছে ১০০ টাকা করে। এরপর লামা পৌরসভার চাম্পাতলী ইজারা আদায় পয়েন্টে প্রতি গরু থেকে রিসিট মূলে আরো ৩৫০ টাকা করে জোরপূর্বক আদায় করেন। এর দেড় কিলোমিটার পর সাপমারাঝিরি গজালিয়া পয়েন্টে গাড়ি হিসেব করে টাকা দিতে হয়। একই ইউনিয়নের ডিসি রোড নামক পয়েন্টেও ইউপি টোল দিতে হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, এসব চাহিত টাকা না দিলে রাস্তার বাঁশকলগুলো তাদেরকে আটকে রাখে। একটি হাট থেকে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্ধারিত কর বা হাঁচিল পরিশোধ করে গরু ছাগল নেয়ার পথে ব্যবসায়ীরা ক্রয়কৃত পশুর জন্য কত জায়গায় কর দিতে হবে; এমন প্রশ্ন সবার। যেখানে পশুর গোস্ত মুল্য প্রতি কেজি গরু-৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাহিত্রাহি অবস্থা বিরাজমান। নিম্ম আয়ের ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের জন্যতো গরুর গোস্ত এখন একটি স্বপ্নের সাধ। উচ্চ বাজার ধরের লাগামহীনতায় জনজীবনে অস্থিরতা, এমন বাস্তবতায় একটি গরু থেকে টোল আদায়ের নামে একাধিক স্থানে চাঁদাবাজী রোধে সরকারের কোনো মহল নজরদারি করবেন কিনা(?) এমন প্রশ্ন কাকে করবে সাধান মানুষ। বিষয়টির প্রতি বান্দরবানের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন স্থানীয়রা।

আরও খবর

🔝