gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সব জাগায় ভুয়ো!
প্রকাশ : বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৯:১০:০০ পিএম
আক্কেল চাচা:
GK_2024-02-14_65ccd80bcb0a2.jpg

ঢাকার এট্টা আদালতে দিওয়ানি মামলার বিচার চলতিলো। স্যানে খোদ বাদী বিচার চাওয়ার বদলি কেস তুইলে নিয়ার জন্যি মুলোমুলি শুরু করে। তাই দেইকে সন্দো করা শুরু হয়। পরে তলাশ কইরে জানা যায়, মামলার আসল বাদীর বদলে ভুয়ো বাদী সাইজে আইসে বিবাদীগের কাচতে টাকা খাইয়ে তাইগের বাচানোর জন্যি নাটক কত্তি আইলো। ব্যাস নাটক করার মাশুল হিসেবে কপালে জুইটেচে দুই বচরের কারাডন্ড, সাতে দুই হাজার টাকা অত্থডন্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাভোগ। মামলার পোকৃত বাদী লালচান সাইজে আসা পরিমল একন চৌদ্দ শিকির মদ্দি।
তলাশ কইরে জানা গেচে, ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকার যুগ্ন জিলা জজ পেত্তম আদালতের এট্টা দিওয়ানি মামলার বাদী হিসেবে মামলা তুইলে নিয়ার আবেদন করেন পরিমল। মামলাডার পোকৃত বাদী ছিলেন লালচান আলী। আদালতে লালচানের ভুটার আইডি কাডও দাখিল করেন পরিমল। জবানবন্দি নিয়ার সুমায় ঢাকার যুগ্ন জিলা জজ আদালতের বিচারোক উৎপল ভট্টাচার্য কাকার কাছে বাদী ও সাক্ষীর উজোনভাটি কতাবাত্তারে সন্দো তৈরী হয়। ঐ সুমায় আদালত পরিমলরে তার নাম ও বাপের নাম জিজ্ঞেস কল্লি থতোমতো খাইয়ে যায়। লালচানের বাপের নাম, মার নাম ঠিকানা তো তার মুখস্ত ছিলনা। সে তো শুদু চুক্তি মাফিক ভুয়ো বাদী সাইজে আইলো। প্যাটে আইসতেচে, মুকি আইসতেচে না ভঙ্গি দেইকে সন্দো আরো জুরালো হইলো। তকন আদালতের পক্কে তাওে জোরে চাইপে ধল্লি ভয়তে গড়গড় কইরে সব স্বীকার যায়। পরে সব দোষ স্বীকার কইরে পরিমল জানায় গাড়িভাড়া আর খাওয়ার টাকার চুক্তিতি বাদী লালচানের ভোইল ধইরেচেন তিনি। এ ঘটনায় আদালতের সেরেস্তাদার জাহাঙ্গীর হোসেন পরিমলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন নাসির উদ্দিন মল্লিক ও লিয়াকত আলী। সেই মামলার রায় বাইরোয় এ মাসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্টেট তোফাজ্জল হোসেন চাচা আসামি পরিমলের দুই বছরের কারাডন্ডের আদেশ দেন। পরে স্বাক্কী সাবুদ জুরালো না হওয়ায় অন্য দুই আসামি নাসির উদ্দিন মল্লিক ও লিয়াকত আলী এ মামলায় খালাস পান।
কি সব্বোরাশে কতা কও দিনি বাপু! কত বড় পিলে না হলি আদালতে ভুয়ো সাইজে যায়! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা

আরও খবর

🔝