প্রকাশ : বুধবার, ৮ জুন , ২০২২, ১২:২৮:০২ এ এম
দীর্ঘ ১৭ বছর পর যশোর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০ টায় শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর উন নবীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, আব্দুস সালাম আজাদ, মিজানুর রহমান খান, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও আব্দার হোসেন। বক্তারা সকলেই কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতের উপর আস্থার কথা বলেন। তারা বলেন, যশোরে বিএনপিকে সামনে এগিয়ে নিতে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বিকল্প নেই। তার সুদক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে যশোরে বিএনপি আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, যশোরসহ খুলনা বিভাগে বিএনপির নেতাকর্মীরা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মধ্যে প্রয়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। এই মুহূর্তে অমিতের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন প্রত্যেক বক্তা। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দেশে যতবার সংকট হয়েছে ততবারই জিয়া পরিবার, তরিকুল পরিবার সংকটে নিপতিত হয়েছে। বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সবসময় জিয়া পরিবার-তরিকুল পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নতুন নেতৃত্ব দলকে এগিয়ে নেবে বলে নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন। ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে আন্দোলন সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যাবে না। দল প্রত্যেক ত্যাগী নেতাকর্মীর যথাযথ মূল্যায়ন করবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু বলেন, এই সরকার মানুষের খেতে দিতে পারে না, কাপড় দিতে পারে না, আবার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে পরাধীনতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগে কাজ করুন পরে মূল্যায়ন করা হবে। বিকেল তিনটার পর স্থানীয় আলমগীর সিদ্দিকী হলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ৯৯৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে নেতা নির্বাচন করতে ভোট দেন ৯৪৪ জন। মঙ্গলবার রাত পৌঁনে ১০ টায় সদর উপজেলা বিএনপির তিনটি পদে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে নূর উন নবী, সাধারণ সম্পাদক পদে আঞ্জুরুল হক খোকন এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দু’পদে আশরাফুজ্জামান মিঠু ও আব্দুর রাজ্জাক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, কে কত ভোট পেয়েছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।