gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কাঠগড়ায় প্রদীপের ফোনালাপ, ৪ পুলিশ সদস্য ফেঁসে গেলেন
প্রকাশ : বুধবার, ২৫ আগস্ট , ২০২১, ০৪:৩৯:২০ পিএম
কাগজ ডেস্ক : :
1629889524.jpg
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালতের কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি ও আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি প্রদীপ কুমার দাশ। এ ঘটনা নজরে এলে আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এক এসটিআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এসটিআই শাহাব উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ চলছে। আরো কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে আদালতে।ছড়িয়ে পড়া ছবিটির বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, মুঠোফোনে কথা বলার ছবিটি মঙ্গলবারের নয়। এদিন আসামি প্রদীপের গায়ে গেঞ্জির কালার ছিলো রঙিন। ছবিটি সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনের (সোমবারের) হতে পারে। এদিন তার গায়ের জামার কালার ছিল এটি। কে বা কারা এই ছবি তুলেছেন, তা–ও অজানা। মুঠোফোনে ওসি প্রদীপ কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অনুসন্ধান করা জরুরি বলে মনে করেন এই আইনজীবী।দেখা যায়, সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিনহা হত্যা মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। এ সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন প্রদীপসহ মামলার ১৫ জন আসামি। প্রদীপের পরনে ছিল কালো রঙের জামা। ছড়িয়ে পড়া ছবির ব্যক্তিকে কালো রঙের জামা পরে থাকতে দেখা যায়। আর মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন প্রদীপ আদালতে আসেন লাল রঙের জামা পরে।প্রথম দিন সাক্ষ্য গ্রহণের কোনো এক ফাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় বসে প্রদীপ মুঠোফোনে কথা বলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন প্রদীপ। হাতে থাকা মুঠোফোনে কারও সঙ্গে তিনি কথা বলছিলেন। তার মাথায় চুল নেই। ফলে ছবিটি যে প্রদীপের, তা স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা যায়। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মুঠোফোনে ওসি প্রদীপ লম্বা সময় কথা বলেন। সম্ভবত তিনি বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কথা বলার জন্য মুঠোফোনটি ওসি প্রদীপকে সরবরাহ করেন দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য।আদালতের আচরণবিধির কথা উল্লেখ করে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, আদালত চলাকালে বিচারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাইরের লোকজনের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীরাও আদালতে ভেতরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেখানে মুঠোফোন বন্ধ রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।এদিকে, আজ (বুধবার) স্বাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিনে নিহত সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতের স্বাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। বেলা সাড়ে ১০টায় শহিদুল ইসলাম সিফাতের গত কালকের অসমাপ্ত জবানবন্দি নেয়া শুরু হয়। এরপর তাকে জেরা করছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তার সাক্ষী শেষ হলে বাকিদেট জবানবন্দি নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদ।

আরও খবর

🔝