gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কালীগঞ্জে গণপরিবহন সব বিধি মানছে না
প্রকাশ : বুধবার, ২৬ মে , ২০২১, ০৮:১৩:৩১ পিএম
টিপু সুলতান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)::
1622038456.JPG
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চলছে গণপরিবহন। আগের মতোই টিকিট বিক্রি করছে কাউন্টারের লোকজন। নিয়ম না মেনে সব আসনেই লোক নিলেও ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুণ। বেশিরভাগ যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ফলে করোনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।কালীগঞ্জ বাসটার্মিনাল ও পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দূর পাল্লার বাসে ইঞ্জিন কভারসহ সব আসনে যাত্রী বসা। আর করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও চালক, হেলপার রাস্তার যাত্রীদের ডেকে ডেকে গাড়িতে তুলতে দেখা গেছে। যাত্রীরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে একেবার উদাসীন। একটি আসনে একজন যাত্রী বসানোর কথা কিন্তু, পরিবহনের সুপারভাইজার ও হেলপার তা মানছেন না। আবার বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এছাড়া বাসের হেলপার প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে থেকে গায়ে হাত দিয়ে দিয়ে যাত্রী তুলছেন। এতে উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের।যাত্রীরা বলছেন, বাসের হেলপার প্রবেশ পথে না দাঁড়িয়ে দরজার সামনে প্রথম সিটে বসতে হবে। সেখানে বসে ওঠার সময় যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। অধিকাংশ গণপরিবহনে তাপমাত্রা পরীক্ষার থার্মাল স্ক্যানার নেই। ওঠার সময় যাত্রীদের স্প্রে করারও কোনো ব্যবস্থা নেই। যদিও সরকার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধিতে সেসব শর্ত দিয়েছিল। তার কোনটাই মানছেন না।। অবশ্য কিছু কিছু পরিবহনে দেখা গেছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ কিছু বিধি মানতে। পরিবহনের সুপারভাইজার, হেলপার শতবার বলার পরেও যাত্রীরা সচেতন হচ্ছে না। তবে আগে মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোক (পুলিশ) এসে চেক দিত। এখন সেটি করেন না। মাস্কের কথা বললে অনেকে জানায় ব্যাগে আছে ভাই। আবার কেউ বলে পকেটে।’ মটর গাড়ির স্টাফরা বলছেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনে না ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। আগে রাস্তায় পুলিশ গাড়ি চেক দেওয়ায় কিছুটা নিয়মের মধ্যে ছিল। এখন পুলিশ নেই তাই যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এদিকে যাত্রীবাহি পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজাররা বলছেন, গণপরিবহনে যাত্রী কমে গেছে। সরাদিন ফুয়েল জ্বালিয়ে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের বেতনের টাকাই ওঠে না।

আরও খবর

🔝