gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২ মে ২০২৪ ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
পাশের দুটি ঘের খননে ভেঙে পড়ছে সতিঘাটা-রামপুর রাস্তা, জনদুর্ভোগ চরমে

❒ ডিসির কাছে গণস্বাক্ষর, পুলিশের পরিদর্শন

প্রকাশ : বুধবার, ১৯ মে , ২০২১, ০৯:৩৪:২২ পিএম
অভিজিৎ ব্যানার্জী:
1621438547.jpg
যশোরের সতিঘাটা রামপুর রাস্তার পাশ ঘেঁষে দুটি ঘের খননের কারণে রাস্তা ভেঙে পড়ছে। এতে ওই রাস্তাটি জনগনের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রামনগর ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষের আসা-যাওয়ার রাস্তাটি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা ওই ঘেরের কার্যক্রম বন্ধ ও রাস্তা সংস্কারের দাবিতে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে গণস্বাক্ষরসংবলিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া সরকারের আরও কয়েকটি দপ্তরে অভিযাগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘের মালিককে হুশিয়ারি দিয়ে এসেছে।যশোর সদর উপেজেলার সতিঘাটা থেকে রামপুরের রাস্তাটি কয়েক গ্রামের জনচলাচলের একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তার পাশ ঘেঁসে এলাকার আইউব আলী নামে এক ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে দুটি ঘের খনন করেছেন। একটি ঘেরে মাছ চাষ করছেন, অন্যটি নতুন করে কাটা হয়েছে। ঘেরের কাটা মাটি আনা নেয়ার জন্য ট্রাক্টর ও ট্রাক ব্যবহার করায় সলিং রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বর্তমানে মাছ চাষে ব্যবহৃত ঘের গিলে ফেলেছে রাস্তার একটি অংশ। আর অনেকের বাড়িঘর হুমকিতে পড়ছে। আইউব আলীর ওই ঘেরের কারণে সতিঘাটা বাজার থেকে রামপুর অভিমুখে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এ ব্যাপারে ওই এলাকার মানুষ গণস্বাক্ষরসংবলিত অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসকের কাছে। এছাড়া পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডিসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি যশোরের পুলিশ সুপারের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। থানার এসআই হারুন অর রশিদ দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনা তদন্তে যান। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসআই হারুন অর রশিদ গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, স্থানীয় জনতার অভিযোগ শতভাগ সত্য। ওই ঘেরের কারণেই রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। রাস্তাটির একটি অংশ ঘেরে চলে গেছে। জনচলাচল চরম হুমকিতে পড়েছে।  ঘেরের মাটি আনা নেয়ার কারণে তিন কিলোমিটার রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা। তিনি ঘের মালিক আইউব আলীকে সতর্ক ও হুশিয়ারি দিয়ে এসেছেন। সাফ বলে এসেছেন, ঘেরের পাশ ও রাস্তার পাশ বেঁধে দিতে হবে। তার আগ পর্যন্ত ঘেরের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি ঘের মালিককে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বলে এসেছেন, সরকারি রাস্তা নষ্ট করা যাবে না। জনবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না। এছাড়া সরেজমিনেও একই চিত্র চোখে পড়েছে। ৫০ বিঘার ওপর ধানি জমি নষ্ট করে দুটি ঘের করা হয়েছে। আবার সরকারি রাস্তা নষ্ট করা হচ্ছে। 

আরও খবর

🔝