gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মশার উপদ্রবে ম্যালেরিয়া বাড়ার শঙ্কা
প্রকাশ : রবিবার, ২১ মার্চ , ২০২১, ০৪:০৪:১৬ পিএম
বান্দরবান সংবাদদাতা ::
1616321616.jpg
বান্দরবান পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রবে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই মিলছে না। ফলে ম্যালেরিয়া রোগী বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। মশার যন্ত্রণায় শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেক মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও যেন নির্বিকার বান্দরবান পৌরসভা। পৌর এলাকায় জমে থাকা ড্রেনের পানি, ময়লা-আবর্জনা দীর্ঘদিনেও পরিষ্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।পৌর কর্তৃপক্ষ ও পৌরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে বান্দরবান পৌরসভা গঠিত। লোকসংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর পৌর এলাকাটি অনেক ভাগে বিভক্ত। এলাকায় ঘনবসতি, চারপাশের ড্রেন পরিষ্কার না থাকা ও যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলায় পানিতে ময়লার স্তূপ জমে প্রচুর মশা জন্ম নিচ্ছে। শীতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবেও মশা নিধন হচ্ছে না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার মশা নিধনের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় বেড়ে গেছে মশার উপদ্রব।পৌরসভার আর্মি পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, সন্ধ্যা নামার পর থেকেই ঘরে মশার উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখলেও মশা কমছে না। আগে পৌরসভার উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করা হতো। কিন্তু চার থেকে পাঁচ বছর হলো পৌরসভা এ ধরনের কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। পৌর এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না, ফলে মশা বাড়ছেই। আর এই কারণেই ম্যালেরিয়া রোগীও বাড়বে।শহরের কাশেম পাড়ার তাওহীদা নাসরিন বলেন, শুধু রাতে না, দিনেও ঘর একটু অন্ধকার হলেই মশা কামড়াচ্ছে। ফলে অনেক সময় দিনেও মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে।সরেজমিনে পৌরসভার আর্মি পাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, কাশেম পাড়া, ইসলামপুর, হাফেজ ঘোনা, বনরূপা ও মেম্বার পাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পৌর এলাকায় ছড়িয়ে আছে ছোট ছোট ডোবা-নালা। এসব ড্রেনের ওপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে মশা।বান্দরবান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াকুব উদ্দিন বলেন, তিনি প্রায় পাঁচ বছর বান্দরবানে আছেন, কিন্তু এবার মশার উপদ্রব যেন খুব বেশি। মশার কামড়ে সন্ধ্যা থেকেই অতিষ্ঠ হতে হয়। কয়েল বা ধোঁয়া কিছু দিয়েই কাজ হচ্ছে না।বান্দরবান পৌরসভার সচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মশক নিধনে পৌরসভার কার্যক্রম চলমান আছে। এখন বাজার এলাকায়, পরে পাড়াভিত্তিক এই কার্যক্রম চালানো হবে। তিনি আরো বলেন, দ্রুত নালা-নর্দমাও পরিষ্কার করা হবে যাতে মশা কমে আসে।

আরও খবর

🔝