gramerkagoj
বুধবার ● ৮ মে ২০২৪ ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
মারা গেলেন কবি মলয় রায়চৌধুরী
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর , ২০২৩, ০৪:১০:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০৪:২২:৪৫ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2023-10-26_653a3b2a4cc12.jpg

মারা গেলেন কবি মলয় রায়চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
১৯৬১ সালে এক ইশতেহার প্রকাশিত হয় পাটনায়। সেই থেকে শুরু হয় হাংরি আন্দোলন। যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গসাহিত্যের আনাচে কানাচে। প্রতিষ্ঠান বিরোধী সেই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল মূলত মলয় রায়চৌধুরীর হাত ধরেই। আবহমান ভারতীয় কবিতার স্রোতবতী শব্দের মাঝেও স্বতন্ত্র মূর্ছনায় উচ্ছ্বল হয়ে উঠেছিল হাংরি আন্দোলন। তাই তো ভারতীয় কাব্য সাহিত্যের বির্বতনের ইতিহাসে এক অনস্বীকার্য নাম হিসেবেই উচ্চারিত হবে মলয় রায়চৌধুরীর নাম।
১০৮টি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছিল, যার মাত্র কয়েকটি 'লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি' এবং ঢাকা বাংলা একাডেমিতে সংরক্ষণ করা গেছে । ১৯৬৫ পর্যন্ত এই আন্দোলন পুরোদমে চলেছিল; বিখ্যাত হাংরি মকদ্দমার পর তা ভেঙে যায়। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বি.দে মলয় রায়চৌধুরী ও হাংরি আন্দোলন বিষয়ে ৩৫০ পৃষ্ঠার গবেষণাপত্রের জন্য পিএচ.ডি. সন্মান দ্বারা ভূষিত হয়েছেন। ২০১৩ সালে হাংরি আন্দোলন নিয়ে আইআইটি খড়গপুর থেকে পিএইচডি করেছেন অধ্যাপক রিমা ভট্টাচার্য। ১৯৯৭ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাংরি আন্দোলন নিয়ে পিএইচডি করেছেন অধ্যাপক উদয়নারায়ণ বর্মা।
১৯৬৪ সালে ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটির জন্য রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মলয়। তাকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। পরবর্তী সময়েও লেখালেখি চালিয়ে গেছেন তিনি। সারা জীবনে লিখেছেন দুই শতাধিক গ্রন্থ। কবিতার পাশাপাশি উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ রচনাও করেছেন। ‘শয়তানের মুখ’, ‘জখম’, ‘ডুব জলে যেটুকু প্রশ্বাস’, ‘নামগন্ধ চিৎকার সমগ্র’, ‘কৌণপের লুচিমাংস’, ‘মাথা কেটে পাঠাচ্ছি যত্ন করে রেখো’ তার উল্লেখযোগ্য রচনা।
বিতর্কও অবশ্য সঙ্গী ছিল মলয় রায়চৌধুরীর নামের সঙ্গে। ২০০৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

আরও খবর

🔝