শিরোনাম |
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের কামানডোবা ব্রীজ থেকে চাঁদপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা স্থানীয়দের জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির দিনে এই রাস্তাটি কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে, ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য রাস্তা পারাপার হয়ে দাঁড়ায় বড় এক ঝুঁকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও কাদা মেখে যেতে হয়। বর্ষাকালে কেউই এই রাস্তায় চলাচল করতে চায় না। ফলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা জীবনেও পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
শুধু কামানডোবা-চাঁদপাড়া রাস্তাই নয়, সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছগ্রাম থেকে খামার রোডের ১২০০ মিটার অংশ বৃষ্টির সময় একেবারে অচল হয়ে পড়ে। এই দুটি রাস্তাই অন্তত বারটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন...
কারবালার শহীদদের স্মরণে রাজশাহী নগরীতে শোক মিছিল
এক চড়ের বদলে সাত চড় খেলেন পুলিশ কর্মকর্তা!
রাস্তা দুটি কাঁচা থাকার ফলে স্থানীয় অর্থনীতি ও কৃষি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল সহজে বাজারে নিতে পারছেন না। এতে যেমন বাড়ছে পরিবহন খরচ, তেমনি সময়মতো বাজারে না নিতে পারায় আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।
স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা জানান, বর্ষাকালে রাস্তায় চলাচলের চেষ্টা করলেই যানবাহনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়, কখনও দুর্ঘটনাও ঘটে। বাধ্য হয়ে ঘুরপথে দুই থেকে তিন কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে বাড়তি খরচ ও সময় অপচয় হচ্ছে।
বছরের পর বছর ধরে এই দুর্ভোগে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বহুবার আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। রাণীগঞ্জ হাট ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামবাসী দ্রুত এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানান।
সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন জানান, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাণীগঞ্জ হাট থেকে চাঁদপাড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি ইতিমধ্যে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আড়াই কিলোমিটার রাস্তা অনুমোদন পেয়েছে, কিছু ত্রুটি সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এই রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।