শিরোনাম |
❒ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার পর রাজধানী ঢাকায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও শোকাবহ পরিবেশে শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল। ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মিছিল যাত্রা শুরু করে।
চার শতাব্দী পুরনো এই ইমামবাড়ায় ভোর থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো মুসলমান জড়ো হন। পবিত্র আশুরার দিনে কারবালার শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।
তাজিয়া মিছিলটি হোসেনি দালান থেকে রাজধানীর আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হবে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই কালো পোশাক পরিধান করেছেন, যা শোক প্রকাশের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন...
অপকর্মে জড়িত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
পলাশবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে উপসহকারী প্রকৌশলীর দুর্নীতি অভিযোগ
মিছিলে অনেকের হাতে দেখা গেছে প্রতীকী ছুরি, নিশান, আলাম, বেস্তা ও বইলালাম—যা কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার প্রতীক। এসব উপাদান মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম বেদনাদায়ক অধ্যায়, কারবালার স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তাজিয়া মিছিল ঘিরে রাজধানীতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মিছিলের অগ্রভাগ, মধ্যভাগ এবং শেষ অংশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, সোয়াট এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ছিলেন মিছিলে এবং আশপাশের এলাকায় মোতায়েন।
মিছিল যেসব সড়ক দিয়ে অতিক্রম করছে, সেসব সড়কে সাধারণ পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন।
পবিত্র আশুরা ইসলামি ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন হিসেবে স্মরণীয়। হিজরি ৬১ সালের ১০ মুহাররম কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (আ.) ও তাঁর পরিবারবর্গ ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে প্রতিবছর শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আশুরার দিন তাজিয়া মিছিল আয়োজন করে থাকেন, যাতে শোক ও আত্মত্যাগের ঐতিহ্য জাগ্রত থাকে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে।