শিরোনাম |
বাংলাদেশ দলের হয়ে গত কয়েক বছর ধরে ডেথ ওভারের নির্ভরযোগ্য বোলার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকালের ম্যাচেও তিনি নিজের দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছেন। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য লঙ্কানদের প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। কিন্তু মুস্তাফিজের কৃপণ ও কৌশলী বোলিংয়ে তারা তুলতে পারে মাত্র ১১ রান এবং হারায় বাকি ২ উইকেট।
এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে লড়াইয়ে টিকে ছিলেন জানিথ লিয়ানাগে, যিনি ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকেও ফেরান মুস্তাফিজ। ম্যাচ শেষে লিয়ানাগে অকপটে মুস্তাফিজের প্রশংসা করেন, “আমরা সবাই জানি মুস্তাফিজ কতটা ভালো। সে আইপিএলে খেলে, অনেক অভিজ্ঞ। ওই উইকেটে কীভাবে বল করতে হয়, সেটা ও জানে। তাকে সামলানো খুব কঠিন ছিল। তাই মুস্তাফিজকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।”
যদিও ম্যাচে মুস্তাফিজ মাত্র একটি উইকেটই পেয়েছেন— লিয়ানাগের। তবে তার ৮ ওভারে ৫৬ রান খরচের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সময়মতো উইকেটটি তুলে নেওয়া।
আরও পড়ুন...
রাত আড়াইটায় ঋতুপর্ণাসহ পুরো দলকে হাতিরঝিলে সংবর্ধনা
ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার? জেনে নিন সহজ তিনটি উপায়
ম্যাচ শেষে লিয়ানাগে আরও বলেন, “বাংলাদেশ অনেক ভালো বল করেছে। ওরা মাঝের ওভারগুলোতে আমাদের ওপর চাপ তৈরি করেছে। আমাদের কিছু ভুল অবশ্যই ছিল, তবে ম্যাচটি ভালো ছিল। আমরা এখন পাল্লেকেলের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি সেটি জিততে পারব।”
নিজের আউট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে লিয়ানাগে বলেন, “আমি কোচদের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম— এমন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। যদি আমি টিকে থাকতাম, তাহলে বড় শট খেলে ম্যাচ শেষ করতে পারতাম। শেষ পর্যন্ত খেললে জয়ের ভালো সম্ভাবনাই ছিল।”
মুস্তাফিজের বিপক্ষে ঝুঁকি না নিয়ে অন্য বোলারদের বিপক্ষে রান তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। লিয়ানাগে বলেন, “আমরা চেষ্টা করছিলাম মুস্তাফিজের বিপক্ষে ঝুঁকি না নিতে। দুশমন্ত চামিরা আমাকে দারুণভাবে সাপোর্ট করছিল। আমি টিকে থাকলে ম্যাচটা আমরা জিততেই পারতাম। তবে আমিই ভুল করে ফেলি।”
মুস্তাফিজ আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বাংলাদেশের ডেথ ওভারের সেরা অস্ত্র। তার অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিমত্তা আর চাপের মুহূর্তে স্নায়ু ধরে রাখার ক্ষমতাই বাংলাদেশকে এনে দিল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জয়।