শিরোনাম |
❒ ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নাটকীয় জয়
ক্লাব বিশ্বকাপে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ইনজুরি টাইমে উত্তেজনাকর নাটকীয়তায় ম্যাচটি পরিণত হয় থ্রিলারে। শেষ পর্যন্ত ১০ জনের দল নিয়েও জয় নিশ্চিত করে লস ব্লাঙ্কোস।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। মাত্র ১০ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন গনসালো গার্সিয়া। মিডফিল্ডার আরদা গুলারের নিখুঁত ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান ‘নতুন রাউল’ খ্যাত এই ফরোয়ার্ড।
২০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রান গার্সিয়া। ডান দিক থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস থেকে তার শটে গোলের দেখা পায় রিয়াল। প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
আরও পড়ুন...
শ্বাসরুদ্ধকর জয়! শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
দেশের ৭ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা
পবিত্র আশুরার শিক্ষা সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা দেয়
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালালেও গোল আসেনি। কিন্তু ইনজুরি টাইমে শুরু হয় নাটক।
৯২ মিনিটে রুডিগারের ভুল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নিয়ে গোল করেন ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড বেইয়ার। স্কোর দাঁড়ায় ২-১।
এর মাত্র দুই মিনিট পরই আরেকটি চমক। গুলারের পাস পেয়ে অ্যাক্রোবেটিক ওভারহেড কিকে গোল করে রিয়ালকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তবে রিয়ালের আনন্দ বেশি সময় টেকেনি। পরের মুহূর্তেই ডর্টমুন্ডের গুইরাসিকে বক্সে ফাউল করেন হুইসেন, যার ফলে লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। ডর্টমুন্ড পায় পেনাল্টি, যা থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-২ এ নিয়ে আসেন গুইরাসি।
ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। মিডফিল্ডার স্যাবিটাইজারের নেওয়া দুর্দান্ত শট কর্নারের দিকে ঠেলে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তার সেই সেভ নিশ্চিত করে রিয়ালের নাটকীয় জয় এবং সেমিফাইনালে পৌঁছানোর টিকিট।
এই জয়ের মাধ্যমে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা মুখোমুখি হবে বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)। অন্য সেমিফাইনালে লড়বে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে।
ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো বলেন, “সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল, ফলাফলও। কিন্তু শেষ দশ মিনিট ছিল সত্যিই অদ্ভুত। পিএসজির সঙ্গে ম্যাচটা হবে কঠিন, তবে আমরা এই জয় থেকে ইতিবাচক দিকগুলো সঙ্গে নিয়ে পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নেব।”
এই ম্যাচে গনসালো গার্সিয়ার এটি ছিল টুর্নামেন্টে তার চতুর্থ গোল, যা তাকে এই আসরের অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।