শিরোনাম |
❒ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনন্য দৃষ্টান্ত এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার অনুপ্রেরণা—এমনটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, আশুরা আমাদের শিক্ষা দেয় অন্যায়ের বিপরীতে সাহস ও শক্তি নিয়ে দাঁড়ানোর, আর এই দিনটির মহত্ব ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে বেশি বেশি নেক আমল করার সময় এখনই।
শনিবার (৫ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, “এই শোকাবহ দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে শাহাদতবরণকারী সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
আরও পড়ুন...
যশোর পাউবোর রেস্টহাউজে এক ওসির অনৈতিক কর্মকান্ডে তুমুল হৈচৈ
তিনি বলেন, “ইসলাম সত্য, ন্যায় এবং শান্তির ধর্ম। এই মহান আদর্শকে রক্ষা করতে গিয়ে ৬১ হিজরি সনের ১০ মহররম কারবালার ময়দানে ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবার এবং সাহাবীগণ ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “কারবালার আত্মত্যাগ শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, এটি পৃথিবীর ইতিহাসে জ্বলজ্বলে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। অত্যাচারীর বিপরীতে সত্যের পথে দাঁড়ানোর শক্তিই আশুরার মূল বার্তা।”
তিনি আশুরার অতিরিক্ত ফজিলতের কথাও উল্লেখ করে বলেন, “এই দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যেমন আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, নূহ (আ.)-এর নৌকা তীরে ভিড়েছে ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনে দুটি রোজা পালনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।”
বাণীতে সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বানের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও উন্নতির জন্যও দোয়া করেন অধ্যাপক ড. ইউনূস।