শিরোনাম |
❒ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হার যদি বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সবাই সঞ্চয়পত্রেই বিনিয়োগ করবে, ফলে ব্যাংক খালি হয়ে পড়বে। তারল্য সংকটে পড়তে পারে ব্যাংকগুলো। তাই সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকিং খাতের মধ্যে একটি ব্যালেন্স করে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন...
যশোরে সাড়ে চার কোটি টাকার সোনাসহ দুই পাচারকারী আটক
আইনের শাসনের অভাবেই পিছিয়ে পড়ছে দেশ
যশোর বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায় পোস্ট অফিসপাড়ার খোকন আটক
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে দিলে ব্যাংক কোত্থেকে টাকা পাবে? তারল্য একটা বড় ইস্যু। তাই একপেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “ইসলামী ব্যাংক তার একটি উদাহরণ। এ ব্যাংকে আস্থা ফিরে আসছে। অন্যান্য ব্যাংকের জন্যও ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট তৈরি করা হয়েছে।”
এই আইনের প্রথম শর্ত হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “যারা ব্যাংকে টাকা রেখেছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া সরকারের অঙ্গীকার। কারও টাকা মার যাবে না। যদিও সময় কিছুটা লাগতে পারে, কারণ অনেকেই টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পৃথিবীর কোথাও এমন ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।”
আরও পড়ুন...
শূন্য দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব জরুরি
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় মেনে নেব না : চীন
কুমিল্লার তিতাসে বিল্ডিং ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণ, ধসের আশঙ্কা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান অস্থিরতা নিয়েও কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “এনবিআরের সমস্যাগুলো সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাঁচ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী এবং নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক প্রমুখ।