শিরোনাম |
❒ নজরুল ইসলাম খান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর ছাত্র আন্দোলন, এবং সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে। এত প্রাণ বিসর্জনের পরও যদি আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হয়, তবে তা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।
শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে "সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়?" শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “একজন মানুষ প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আস্তে আস্তে বিকশিত হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে উন্নতির ধারাবাহিকতা নেই। বারবার যেন সাপ-লুডুর খেলায় এগিয়ে গিয়ে আবার পিছিয়ে পড়ি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
আরও পড়ুন...
শূন্য দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব জরুরি
যশোরে সাড়ে চার কোটি টাকার সোনাসহ দুই পাচারকারী আটক
কুমিল্লার তিতাসে বিল্ডিং ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণ, ধসের আশঙ্কা
শ্রম আইনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আইনে বলা আছে, প্রতিটি শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিকও তা পায় না। তারা কোনও সুবিধাও পায় না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যারা শ্রমিকদের কম মজুরি দেয় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার বা শাস্তির কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেই।”
নজরুল বলেন, দেশে নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক—সবার জন্য আইন থাকলেও সাধারণ মানুষ তা জানে না, বা বুঝলেও সুফল পায় না। রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব এই আইনগুলো সাধারণ মানুষকে বোঝানো।
তিনি বলেন, “যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে, তারা ভুল করলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালালে তাদের শাস্তির বিধান কোথায়? সাধারণ মানুষ দেশের কতটুকুই বা ক্ষতি করতে পারে? কিন্তু যারা বড় পদে, তাদের অবহেলা দেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।”
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, “আইনের ভাষা যতই সুন্দর হোক না কেন, যদি কার্যকর প্রয়োগ না হয় তবে সাধারণ মানুষের কল্যাণ হবে না। আইনে যেন দায়িত্বে অবহেলার জন্য শাস্তির সুস্পষ্ট বিধান থাকে, তা নিশ্চিত করা জরুরি।”