শিরোনাম |
❒ জমি বিরোধ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের রামভদ্রা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি বিল্ডিং ঘেঁষে সীমানার মাটি কেটে ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসী বাবুল মিয়ার দাবি, প্রতিপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এই ড্রেন কেটে তার অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একতলা বিল্ডিংটির ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে। বৃষ্টির পানি ও পয়োনিষ্কাশনের জলের চাপের ফলে ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বাবুল মিয়ার অভিযোগ, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসানো হলেও প্রতিপক্ষ সালিশ মানতে রাজি হয়নি। বরং, সমাধান করতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মতিন মিয়া ও তার ছেলে শাহাপরানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী বাবুল মিয়ার পরিবার জানায়, দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর আগে জায়গা পরিমাপ করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এসে পাশের জমির মালিক আব্দুল মতিন মিয়া সেই জায়গা নিয়ে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি করছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ড্রেন কেটে ভবনের ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন...
আন্তর্জাতিক অপরাধে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অযোগ্য
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয় মেনে নেব না : চীন
দশম গ্রেডে বিএসসি প্রকৌশলীদের নিয়োগ না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
বাবুল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা আক্তার ইতোমধ্যে তিতাস থানা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিবারের দাবি, বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দূর প্রবাস থেকে পরিবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন।
বাবুল মিয়ার ছেলে রিয়াদ জানান, “মতিন মিয়ার ছেলে শাহাপরান হুমকি দিয়ে বলেছে, বিল্ডিং রক্ষা করতে চাইলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে ভবনটি ধ্বংস হয়ে যাবে।”
স্থানীয় সমাজসেবক হাজী মো. কামাল হোসেন ফকিরসহ গ্রামের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সালিশে বসার চেষ্টা করেছেন। তবে মতিন মিয়ার ছেলে উগ্র মেজাজের কারণে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়নি বলে জানান তারা।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি এলোমেলো মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, “আমি পুলিশকেও পরোয়া করি না, প্রয়োজনে আমার জমির মাটি কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলবো।” তবে তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা পাঁচ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
স্থানীয়রা মনে করছেন, বিরোধটি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। নইলে ভবন ধসে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।