| শিরোনাম |
❒ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
❒ অপ্রয়োজনীয় টেস্ট ও রোগীদের হয়রানি, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এখানে উচ্চমূল্যের ভিজিটের পর নানা রকম অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে ইচ্ছেমতো বিল বানিয়ে রোগীদের আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন এলাকার দালালদের মাধ্যমে নিয়মিত রোগী আনা হয়। এসব দালালদের দেওয়া হয় বিশেষ কমিশন—তাদের মাধ্যমে রোগী আসলে ডাক্তার ভিজিটের পাশাপাশি প্রেসক্রিপশনে দেওয়া টেস্টের টাকার অংশও পায় তারা। এর ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছেই। অভিযোগ রয়েছে, রোগীর কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে অনেক সময় দালালদের আচরণ হয় অপমানজনক ও দুর্ব্যবহারমূলক।
আরও পড়ুন...
আওয়ামী লীগ করলেই কেউ অপরাধী হয়ে যায় না : রাশেদ
ঘোড়াঘাট ৫০ শয্যায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ভোগান্তির শেষ নেই
সাতক্ষীরায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, চরম ভোগান্তিতে পৌরবাসী
রোগীরা জানান, টেস্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো মূল্য তালিকা অনুসরণ করা হয় না। এক ধরনের ‘মাছবাজার’-এর মতো দরদাম করে টাকা নেওয়া হয়। প্রভাবশালী কারও রেফারেন্স না থাকলে রোগীদের কমমূল্যে সেবা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, একজন রোগী মাত্র ৫০০ টাকার ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ৫টি টেস্ট করাতে গিয়ে ৭ হাজার টাকা বিল পেয়েছেন। রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এখানে ভিড় থাকে—কিন্তু অধিকাংশ সময়ই সেবা নয়, তর্ক-বিতর্ক, অভিযোগ আর চেঁচামেচি নিয়েই দিন কাটে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে দেখা যায়, তার কক্ষ তালাবদ্ধ। স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর তদন্ত ও দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের পরিবার। তাদের বক্তব্য, রোগ নির্ণয়ের নাম করে যেভাবে মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ লুটে নেওয়া হচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত।