শিরোনাম |
দেশের করোনা পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাতে এখনই আরও দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেয়া জরুরি। এখনো পর্যন্ত দেশের অনেক হাসপাতালে করোনা টেস্টের পর্যাপ্ত কিট পৌঁছায়নি। এর পাশাপাশি আইসিইউ ওয়ার্ডগুলোও অগোছালো রয়েছে। এ কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা না গেলে দেশে করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
খবরে প্রকাশ, গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর কোভিড মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। যিনি মারা গেছেন, তিনি একজন নারী। তার বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। সিলেট বিভাগের ওই বাসিন্দা একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫১৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ বছর এ পর্যন্ত ৬০৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর দেশে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২৩ জনের। কোভিড মহামারী শুরুর পর প্রথম বছর ২০২০ সালে ৭৫৫৯ জনের প্রাণ কেড়েছিল করোনাভাইরাস। এরপর সবচেয়ে বেশি ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০২১ সালে। ২০২২ সালে ১৩৬৮ জন এবং ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২২ জন মারা যায় কোভিডে।
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্যান্য দেশে ভাইরাসের এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত এবং ভাইরাস ছড়ানো অন্যান্য দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবেলায় সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতে বলেছে।