শিরোনাম |
❒ আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল
সরকারি উপদেষ্টাদের নিয়ে ধারাবাহিক মিথ্যাচার সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইন বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের বিশেষ সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকার নিয়ে, এমনকি আমাকে নিয়েও ভয়ংকর মিথ্যাচার চলছে। অথচ সরকার এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করে না, মামলা তো নয়ই।”
ড. নজরুল অভিযোগ করে বলেন, অনেক সময় অন্যায় তদবিরে সাড়া না দিলে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয়। “আমাকে কখনো ভারতের দালাল বানানো হয়, কখনো গুজব ছড়িয়ে চরিত্রহননের চেষ্টা করা হয়। এসব আমি জনগণের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন...
ইসরায়েলবিরোধী সংঘাতে 'বিজয়ের দাবি' ইরানের
মাদকমুক্ত যুবশক্তিই দেশের উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি
আইন উপদেষ্টা জানান, দেশের বিচারব্যবস্থা ও পুলিশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দরকার আছে। “সরকার ইতোমধ্যে আদালত ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি আদালতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে,” তিনি বলেন।
তবে তিনি স্বীকার করেন, দেশে এখনও অনেক মিথ্যা মামলা হচ্ছে এবং অনেককে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়। “অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে মিথ্যা মামলা করেন। এই প্রবণতা দমন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে,” বলে জানান তিনি।
গণমাধ্যম সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, “২৯টি আইনের সংস্কারের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াকে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।”
আরও পড়ুন...
ধুলাসারে খালের বাঁধ অপসারণে স্বস্তিতে তিন গ্রামবাসী
রোনালদো আল নাসরের সঙ্গে দুই বছরের নতুন চুক্তির দ্বারপ্রান্তে
মিডিয়া সংশ্লিষ্ট মামলার প্রসঙ্গে ড. নজরুল জানান, এখন পর্যন্ত ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ১৫ জন। “সরকার এসব মামলার পেছনে নেই। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে এসব মামলা করছেন, যার বেশিরভাগই মিথ্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে সরাসরি মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়ার সুযোগ আইনি সীমাবদ্ধতায় কম রয়েছে।
সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপার জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কে জামিন পাবে আর কে পাবে না, সেটা আইন মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে না। বিচারপতিরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেন।”
সংলাপের শেষ অংশে তিনি মন্তব্য করেন, “একদিকে যদি স্বাধীনতা দাবি করি, অন্যদিকে দায়িত্বশীল না হই, তাহলে সেই স্বাধীনতা টেকসই হয় না।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল আচরণ ছাড়া বাকস্বাধীনতা টেকসই হতে পারে না।