শিরোনাম |
রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও বেআইনিভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন...
যশোরের ফুলসারা ইউপি চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিলো সন্ত্রাসীরা
‘ইরান-ইসরায়েল সংঘাত স্থগিত হলেও ফের যুদ্ধের আশঙ্কা’
এদিকে একই মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধেও ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বর্তমানে চার দিনের রিমান্ডে থাকা নুরুল হুদাকে আগামীকাল আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের একজন কর্মকর্তা।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিন সাবেক সিইসি এবং আরও ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও বর্তমান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
২৫ জুন মামলাটিতে নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং সরকারি পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচন প্রভাবিত করা হয়। এমনকি জনগণের ভোট না পেয়েও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলা হয়।