gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ১৭ জুলাই ২০২৫ ২ শ্রাবণ ১৪৩২
gramerkagoj

❒ টিউলিপ সিদ্দিকের উকিল নোটিশ

ড. ইউনূস ও দুদকের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৪ জুন , ২০২৫, ১০:০১:০০ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-06-24_685a23045fe6d.jpg


যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার সুনাম নষ্ট করতে এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে "পরিকল্পিত প্রচারণা" চালাচ্ছেন।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ টিউলিপ সিদ্দিক একটি উকিল নোটিশের মাধ্যমে উত্থাপন করেছেন, যা পাঠানো হয়েছে ড. ইউনূস এবং দুদক বরাবর।

নোটিশে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করাই প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের উদ্দেশ্য। তাঁরা আমার নির্বাচনী এলাকা, আমার রাজনৈতিক দল এবং জনসেবার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন।’

আরও পড়ুন...

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলকে একযোগে প্রতিরোধের আহ্বান উত্তর কোরিয়ার


এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠান স্টেফেনসন হারউড এলএলপির মাধ্যমে।

টিউলিপের দাবি, ১৮ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের এবং ৪ জুন ড. ইউনূসকে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো জবাব আসেনি।
আইনি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘টিউলিপ একটি পরিকল্পিত অভিযানের শিকার। ড. ইউনূস ও দুদক এর নেপথ্যে রয়েছেন।’

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূস লন্ডন সফরে গেলে টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউনূস সাক্ষাৎ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
স্টেফেনসন হারউড জানায়, ইউনূসের এমন সিদ্ধান্তে তাদের মনে হয়েছে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ এড়িয়ে গেছেন।

বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, এটি একটি “আইনি প্রক্রিয়া” এবং তিনি এতে হস্তক্ষেপ করতে চান না।
নোটিশে এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘টিউলিপের মতো একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার আগে তথ্য যাচাই করা উচিত ছিল।’

নোটিশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ৩০ জুনের মধ্যে টিউলিপের আগের চিঠিগুলোর যথাযথ জবাব না দিলে, তিনি বিষয়টি “সমাপ্ত” বলে ধরে নেবেন।
স্টেফেনসন হারউড-এর ভাষায়, “দয়া করে নিশ্চিত করুন, দুদকের তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে।”

আরও খবর

🔝