শিরোনাম |
যশোর থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মাসেতু দিয়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচাতে রেল অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। আগামী ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে যশোর রেলওয়ে জংশনে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। পাশপাশি দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় যশোর রেলওয়ে জংশন প্লাটফর্মে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। লিখিত বক্তব্যে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন বলেন, যশোর-ঢাকা-পদ্মাসেতু লিংক প্রোজেক্টের উদ্বোধনী দিনে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা রুটে ২টি ট্রেন চালুসহ দর্শনা-যশোর-নড়াইল-ঢাকা রুটে ২টি ট্রেন চালু, নিজ শহর থেকে প্রতিদিন ঢাকায় অফিস করার জন্য ট্রেনের সময় সূচি তৈরি করা, আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ বগী যুক্ত করা, ট্রেনের ভাড়া বাস ভাড়া থেকে কম রাখা, ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তির সহজ পদ্ধতি চালু করা, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা এবং দর্শনা-খুলনা রেলপথকে দ্রুত ডবল করাসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছি।
তিনি উল্লেখ করেন, শোনা যাচ্ছে খুব দ্রুতই পদ্মবিলা জংশন-নড়াইল-ভাঙ্গা হয়ে ঢাকায় রেল চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা-নড়াইল-খুলনা রুটে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল করেছে। কিন্তু যশোরে এখনো এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে নতুন এই রুটে যশোর থেকে কখন, কীভাবে এবং কয়টি ট্রেন চলাচল করবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে আমরা আমাদের স্বপ্ন বাঁচাতে, পদ্মাসেতু রেল প্রকল্পের সুবিধা পেতে আগামী ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় রেলপথ প্রতীকী অবরোধ ঘোষণা করছি। দাবিসমূহ না মানলে আমরা কঠোর কর্মসূচি অর্থাৎ পূর্ণ রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন আরও বলেন, এই প্রকল্প শুরুর আগে ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য আমরা যশোর, মোবারকগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর প্রতিদিন ৩টি ট্রেন পেতাম। যেগুলো যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করতো। বিগত সরকারের সময়কালে ও রুট থেকে ২টি ট্রেন রাজবাড়ী ভাঙা পদ্মাসেতু হয়ে চলাচল করছে। আমরা গত ছয় মাস আগে জনাতে পারলাম যশোর ঢাকা পদ্মাসেতু লিংক প্রোজেক্ট শুরু হলে খুলনার ট্রেনগুলো যশোরে আসবে না। সিঙ্গিয়া স্টেশনের পর ট্রেনগুলো গতিপথ পরিবর্তন করে পদ্মবিলা জংশন (রাধানগর, বাঘারপাড়া) হয়ে ঢাকায় চলে যাবে। যশোর দিয়ে মাত্র ১টি ট্রেন (বেনাপোল এক্সপ্রেস) যাওয়া-আসা করবে। মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুরবাসী ঢাকায় যাওয়া-আসার জন্য একটি ট্রেনও পাবে না। যা বর্তমান অবস্থার থেকে আরও খারাপ সংবাদ এ অঞ্চলের মানুষের জন্যে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আর উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুর রহমান হিরু, জিল্লুর রহমান ভিটু, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মিলন, সংগ্রাম কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, খন্দকার আজিজুল হক মনি, নাজিমউদ্দীন, শেখ আলাউদ্দিন এবং নাসির উদ্দিন আহমেদ শেফার্ড।