দুই ম্যাচে হেরে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে ঝুঁকির মুখে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক সোফি ডিভাইনের দুর্দান্ত দুটি ইনিংসও দলকে বাঁচাতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টানা দুই হারে নিউজিল্যান্ড এখন চাপের মধ্যে।

আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) তাদের সামনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। গুয়াহাটিতে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।

বিশ্বকাপের আগে ছয় মাস ধরে কোনো ওয়ানডে না খেলার খেসারত দিচ্ছে কিউই ব্যাটাররা। প্রস্তুতি ম্যাচেও ভারত ও ভারত ‘এ’-এর কাছে হেরেছিল তারা। মাঠে নামার পরও একই চিত্র—ব্যাটিংয়ে ডিভাইন একাই লড়ছেন। এখন পর্যন্ত দলের মোট রান-এর ৪২% এসেছে তার ব্যাট থেকে। অন্য ব্যাটাররা ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না, বোলাররাও ধারহীন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাতটি মিসফিল্ড দলের আত্মবিশ্বাসহীনতা আরও স্পষ্ট করেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দল পুরো ভিন্ন ছন্দে। পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা চমক দেখিয়েছে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। ব্যাটিং এখনও পুরোপুরি জ্বলে না উঠলেও বল হাতে মেয়েরা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। তরুণ পেসার মারুফা আক্তার নতুন বলে নিয়মিত সাফল্য এনে দিচ্ছেন, আর স্পিন ত্রয়ী নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খান মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষকে বেঁধে রাখছেন।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ প্রায় পুরোপুরি ডানহাতি ব্যাটারদের নিয়ে গঠিত, যেখানে ব্রুক হলিডে একমাত্র বাঁহাতি। তাই নাহিদা আক্তারের বাঁহাতি স্পিন এবং ফাহিমা-রাবেয়ার লেগ স্পিন কিউই ব্যাটারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

২০২২ সালে দুই দলের আগের দুই ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড, কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। গুয়াহাটিতে এই ম্যাচে স্পিন-সহায়ক কন্ডিশন বাংলাদেশকে সুবিধা দেবে। তাছাড়া মাঠে ইতিমধ্যেই একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

নিউজিল্যান্ডের সামনে জেতার বিকল্প নেই যদি তারা টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চায়, আর বাংলাদেশ চাইবে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো কিউইদের হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে।