gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২৯ কার্তিক ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম মণিরামপুরে ইটভাটার মেশিনে আটকা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু আশাশুনিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান গাইবান্ধায় পাইলট প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান মোংলায় খালেদা জিয়ার নামে স্কুল, কলেজ ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণে বিএনপি নেতার উদ্যোগ সভাপতি পদে দুই ও সম্পাদক পদে চারজনসহ ২৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা, আওয়ামীপন্থীরা মাঠে নেই আগামীকাল উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে উপশহর ও ফতেপুর জোড়া গোলের জয়ে সেমিতে চৌগাছা পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেতে দুই হাজারের বেশি আবেদন সরকারকে জিম্মি করে দাবি আদায়কারীরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

❒ নাহিদ ইসলাম

ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীও ব্যতিক্রম হতে পারে না
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ অক্টোবর , ২০২৫, ১০:৫৬:০০ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-10-10_68e88f83096d5.jpg

❒ নাহিদ ইসলাম ছবি: ফাইল ফটো

সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়ে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাদের অতিসত্বর গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

এর আগে বুধবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর সাবেক পাঁচজন মহাপরিচালকসহ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে আরও লেখেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জুলাই-আগস্টের স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসার ও সৈনিকেরা জনগণের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে সংস্কার ও ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে— কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার বাইরে নয়।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে প্রায় সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যার প্রভাব সেনাবাহিনীতেও পড়েছিল। কিছু কর্মকর্তা— বিশেষত র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। এমনকি জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম মনে করেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর এখন একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে সেনাবাহিনীসহ সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে “কলঙ্কমুক্ত ও গণতান্ত্রিকভাবে পুনর্গঠন” করার।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি সেনা নেতৃত্ব সরকার ও ট্রাইব্যুনালকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। এটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার প্রশ্ন নয়; এটি রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। আমরা চাই না সেনাবাহিনী ও বিচারব্যবস্থা মুখোমুখি অবস্থানে যাক। দেশবিরোধী চক্র সংঘাত সৃষ্টি করে অস্থিতিশীলতা চায়, যা প্রতিহত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

পোস্টের শেষাংশে নাহিদ ইসলাম লেখেন, ৫ আগস্ট থেকে আমরা দেশের স্থিতিশীলতা ও ঐক্য রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ন্যায়বিচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন করা।

আরও খবর

🔝