প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩, ১১:০৬ পিএম |

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকের পর বিতর্কিত সেই আনোয়ারুল কবীরকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার কাফরুল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ওইদিন রাতে আনোয়ারুল কবীরের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে যশোরে মানববন্ধন করেন তার দ্বারা হেনস্থার শিকার মানুষ। এরপর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের লাইন পড়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে দু’টি মামলা হয়। তার একটি করেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও অপরটি করেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ।
শহিদুল ইসলাম মিলন মামলায় উল্লেখ করেছেন, তাকে নিয়ে আনোয়ারুল কবীর বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক আইডিতে অশ্লীল ও আপত্তিকর পোস্ট দেন। এতে তার মানহানি হয়। সর্বশেষ,গত ২১ মার্চ তাকে ফোন করেন আনায়োরুল। বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার পর বাজার করা বাবদ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। চাঁদা না দেয়ায় আনোয়ারুল তার বিরুদ্ধে একের পর এক মানহানিকর পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আপত্তিকর পোস্টে পাঁচ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন শহিদুল ইসলাম মিলন।
অন্যদিকে, চেয়ারম্যান রাজু তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, আনোয়ারুল তার ফেসবুক আইডিতে রাজুকে নিয়েও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে পোস্ট দেন। সর্বশেষ, গত ১৩ মে রাজুকে ফোন করেন আনোয়ারুল। পরে তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হয়। বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ায় তার দু’ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অনুপম রায় বলেন, মূলত মৌরিন নামের এক নারীর মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। দু’টি মামলা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সব মামলায় তাকে শোনঅ্যারেস্ট দেখানো হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,আনোয়ারুল কবীর ঢাকায় থেকে বিভিন্ন রাজনীতিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মনগড়া আপত্তিকর ও মানহানিকর পোস্ট করে সমালোচিত হন।