প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩, ৯:৩৯ এএম |

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল (নারী) দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের জন্মদিন আজ। বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই নাম। দেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশের কোনো ক্লাবের হয়ে খেলতে গিয়ে আগেই ইতিহাস গড়েছেন তিনি। আর এখন ফুটবল বিশ্বে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
সাবিনা খাতুন প্রতিটি ম্যাচেই উদ্ভাসিত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে প্রতি পক্ষের জালে বল পাঠাচ্ছেন অসংখ্যবার। ঘরোয়া ফুটবল মানে সাবিনার গোল উৎসব। ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশের কোনো ক্লাবে খেলতে গিয়েছিলেন জাতীয় প্রমীলা দলের এই ফুটবলার।

সাবিনা খাতুন ২৫ অক্টোবর, ১৯৯৩ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো: সৈয়দ গাজী ও মা মমতাজ বেগম, সাবনিা তাদের চতুর্থ সন্তান। ২০০৭ সালে অস্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে ফুটবলের সাথে সাবিনার সম্পর্ক। সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল কোচ আকবরের মাধ্যমেই ফুটবলের হাতেখড়ি। স্কুল পর্যায়ে, আন্তঃস্কুল ও আন্তঃজেলা পর্যায়ে ভাল খেলার সুবাদে ডাক পেয়ে যান জাতীয় দলে।

২০০৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে সাবিনার অভিষেক ঘটে। ২০১৫ সাল থেকে তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০২২ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ নারী দল তার নেতৃত্বে এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচের ৩টিতেই

পেয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। সাফের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে সাবিনার হাতে। জাতীয় দলের জার্সিতেও বাংলাদেশ দলে সাবিনার ধারেকাছে কেউ নেই। শুধু সাফেই করেছেন ২২ গোল। সব মিলিয়ে ৪৮ ম্যাচে গোল ৩২টি।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের সব নক্ষত্রের মধ্যে সাবিনাও একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। সাবিনা এক হাতে সংসারের হাল ধরেছেন আরেক হাতে দেশের। নিজ দায়িত্বে দেশকে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দেশের যেসব নারীরা পিছিয়ে আছে তাদের জন্য হয়েছেন রোল মডেল।