প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম |

ভাই ইমরোজ হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে চাঁচড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রনিকে খুন করে ভাতুড়িয়ার ইসরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। মদ খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বর্মনপাড়া শ্মশানে ডেকে নিয়ে ছয়জন ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রনিকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনায় মোস্ট ওয়ান্টেড ইসরাজুলকে আটকে পর রিমান্ডে সে এই তথ্য জানিয়েছে। তার দেয়া তথ্যে মুক্তেশ্বরী নদীর পানি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, দা, কুড়াল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রনি হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর তদন্তভার ন্যস্ত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মামলার প্রধান আসামি ইসরাজুল ইসলামের রিমান্ড দাবি করেন আদালতে। আদালত তার এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা ২৪ মে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় ইসরাজুল হত্যার দায় স্বীকার করে। সে জানায় প্রথমে রনিকে প্রচুর মদ খাওয়ানো হয়। এরপর ছয়জনে মিলে কুপিয়ে হত্যা কর হয়। তার স্বীকারোক্তিতে এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল বর্মনপাড়া শ্মাশানের পাশের মুক্তেশ্বরী ডোবার পানি থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ধারার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গত বছরের ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাঁচড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাবর আলীর ছেলে রনি হোসেনকে (২১) প্রতিবেশি রকি ও রবি বর্মনকে দিয়ে ডেকে নেয়া হয়। ভাতুড়িয়ার ইমরোজ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রনি। ভাতুড়িয়া নারায়ণপুরের নুর ইসলাম ওরফে নুরু মহুরির ছেলে ছিলেন ইমরোজ। রনি হত্যকান্ডের প্রধান নায়ক ইসরাজুল হচ্ছেন ইমরোজের ভাই। ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় রনিকে। নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে তাকে দেখলেও পরে আর তাকে পাওয়া যায়না। পরিবারের লোকজন ঘটনার দিন থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজিও করেন। এক পর্যায়ে চাঁচড়া বর্মনপাড়া শ্মশানের পাশে মুক্তেশ্বরী নদীর ডোবাতে মেলে রনির ক্ষতবিক্ষত লাশ। এরপর রকিকে আটক করে জড়িতদের নাম ঠিকানা পেয়ে ৩ অক্টোবর রনির মা ছায়রা বেগম মামলা করেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলায় অনেকে জামিনে আছে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ব্যাপারে সব তথ্য হাতে চলে এসেছে। সবাইকে একেএকে আটকের আওতায় আনা হবে। একইসাথে মামলাটির দ্রুতই চার্জশিট দেয়া হবে। ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি বার্মিজ চাকু, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ২টি গাছি দা জব্দ করা হয়েছে।