প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩, ১০:০৫ পিএম |

যশোর শহরতলীর আরবপুর মাঠপাড়ার গৃহবধূ শিরিনা বেগমকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী জুয়েল সরদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৪ মে নারী ও শিশু নির্যানত দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এক রায় দিয়েছেন। জুয়েল সরদার আরবপুর মাঠপাড়ার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি সেতারা খাতুন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল সরদার খয়েরতলার ভৈরব ফিলিং স্টেশনে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। জুয়েলের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পরিবারিকভাবে শিরিনা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের দু’সন্তান ও শিরিনার নিজের সন্তানের দেখাশুনা নিয়ে প্রায় তার স্বামীর সাথে মনমালিন্য হত। ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর দুপুরে জুয়েল বাড়ি আসলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শিরিনা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে শিরিনাকে মারপিট করে ঘরের মধ্যে ফেলে দিয়ে পানির বোতলে রাখা পেট্রোল তার গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা ধোয়া দেখে ঘরে ঢুকে দেখে শিরিনার গায়ে আগুন জলছে। এ সময় দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে প্রথমে যশোর পরে খুলনা এবং রাতে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় ১৪ অক্টোবর নিহতের পিতা ঝিকরগাছার কায়েমকোলা গ্রামের খলিলুর রহমান জামাই জুয়েলকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় জুয়েল সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রেজাউল করিম।
মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি জুয়েল সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।