প্রকাশ: সোমবার, ২২ মে, ২০২৩, ৪:১৭ পিএম |

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেছেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নানা কারণে সহজে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২২ মে) রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় এবিবির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বিশ্বের যে অর্থনৈতিক সংকট আছে তা সামলাতে আমাদের আরও সময় লাগবে। আমরা এখনও অনেক গরিব দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অনেক নীচে আমরা। আমাদের দেশ ছোট অর্থনীতির।
তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের সংকট কিছুটা কেটেছে। তবে আমরা সংকট থেকে এখনও পুরোপুরি উত্তরণ হতে পারেনি। সংকটের মধ্যেও কোনো ব্যাংকের আমানতকারী টাকা তুলতে পারেনি এমন হয়নি। তারল্য ব্যাংক খাতের কোন চ্যালেঞ্জ নয়, এই সংকট দূর হয়েছে।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে বেশ কয়েকটা ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে জবাব চেয়েছিল, পুরনো এই বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে।
রেমিট্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কী ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে হবে। প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে ভালো সুবিধা পান না, তাদের কোনো ধরনের কাজ শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করা হয়। যা আমাদের দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাশরুর আরেফিন বলেন, করোনার পর ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ কেন্দ্র করে চলা অর্থনৈতিক মন্দায় কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে ব্যাংকিং খাত।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে। আমাদের তারল্য সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছিল তবে এখন অতিরিক্ত তরল্য রয়েছে। পুরো ব্যাংক খাতে এখন অতিরিক্ত এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।