প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ২:২১ পিএম |

বান্দরবানের লামায় তামাকের বিকল্প অর্থকরি ফসল আখ চাষে উৎসাহ দিয়ে চলছেন কৃষক লীগের নেতা কর্মিরা। ইতিমধ্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে আখের বীজখন্ড বিতরণ করা হয়েছে। লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, তামাকের বিকল্প অর্থকরি ফসল আখ চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীট নাশকসহ অন্যান্য সবজি বীজও দেয়া হয়েছে। কৃষক লীগ সভাপতি আঃ ওহাব জানান, জীবন ঘনিষ্ট ও অর্থকরি ফসল আখ চাষে লামা উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন-লামা, ফাঁসিয়াখালী ও সরই ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে আখ বীজখন্ড বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে রংবিলাসহ আরো কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে। কৃষকরা জানান, "আমরা যদি ৪০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করি; তামাকের চেয়ে কয়েকগুন বেশি লাভবান হতে পারি। তবে সে ক্ষেত্রে বাজারজাত করণে নিশ্চয়তা থাকতে হবে।" শ্রম, অর্থ, সময়, জীবন-পরিবেশ বান্ধব এই আখ চাষে এই অঞ্চলে প্রান্তিক কৃষকের ভাগ্যের দুয়ার খোলে যেতে পারে। প্রসঙ্গতঃ বিংশ শতাব্দির আশির দশকে প্রচুর আখ উৎপাদন হতো লামা উপজেলার উর্বর মাটিতে। লামা বাজারে আখের গুড়ভর্তি কলসির বসরা সাজিয়ে বেচাবিক্রি হতো। সাপ্তাহে ২দিন বেপারিরা আখের গুড়ের মাটির কলসি কিনে নৌপথে মাতামুহুরি নদী দিয়ে চকরিয়া নিয়ে যেতেন। বিশেষ করে লামা ইব্রাহীম লিডারপাড়া ও তার আশপাশের গ্রামগুলোতে চোলাই আখের গুড় তৈরি হতো। ওই গ্রামের কৃষকদের বলা হতো আখের গুড় কারিগর। ১৯৮৬ সাল থেকে তামাকপাতার নিষ্ঠুর আগ্রাসনে ক্রমে আখ চাষের ঐতিহ্য বিলুপ হতে থাকে। নিলকরদের বর্জুয়া দাপড়ের কাছে হেরে যায় আমাদের প্রান্তিক কৃষক ও ঘোটা জীবনানুকুল ব্যবস্থাপনা। সুতরাং এমন নিষ্ঠুর বাস্তবতায় লামা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষকলীগের একটি সমচিত উদ্যােগে সর্বজনীন আশান্বিত।