প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:৫৯ পিএম |

বিশ্বকাপ শুরুর আগে সবাই যেভাবে ভেবেছিল বেলজিয়াম ভালো কিছু করবে। তবে বাস্তবে তা হয়নি। দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা কানাডা বেশ ভালোই ভুগিয়েছে রবার্তো মার্টিনেজের দলকে। কানাডার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে তারা। ম্যাচের শুরু থেকে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয় কানাডা।
বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে কানাডাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। একমাত্র গোলটি করেছেন মিচি বাতসুয়াই।
পুরো ম্যাচে দারুণ খেলেও কোনো গোলের দেখা পায়নি কানাডা। গোলের পর গোল মিস করে দলটি। আর তাতে বাঁধা হয়ে দাড়ান কর্তোয়া। পুরো ম্যাচে ২০টি শট নেয় কানাডা একটিও লক্ষ্যভেদ হয়নি। অন্যদিকে মাত্র ৯টি শট নেয় বেলজিয়াম। তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। তারা ম্যাচের ৫৪ শতাংশ সময় বল তারা নিজেদের পায়ে রাখে।
ম্যাচের দশম মিনিটে গোল পেতে পারতো কানাডা। ডি-বক্সে হাত দিয়ে বল ছুঁয়ে হলুদ কার্ড দেখেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ইয়ানিক কারাসকো আর পেনাল্টি পায় কানাডা। কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় তারকা আলফুঁস ডেভিস নেন দুর্বল শট। নিপুণ ঝাঁপিয়ে সেই শট ঠেকিয়ে দেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
ম্যাচের ২২ মিনিটে ভালো সুযোগ পায় বেলজিয়াম। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে এদেন আজার প্রতিপক্ষের কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে ডি-বক্সে খুঁজে নেন ইউরি তিলেমান্সকে। তার পাস ধরে শট নেন বাতসুয়াই। দারুণ ট্যাকলে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান কানাডার ডিফেন্ডার কামাল মিলার।
প্রথমার্ধে কানাডার আক্রমণের মাত্রা স্পষ্ট হয়ে ওঠে পরিসংখ্যানে। ৪৪ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১৪টি শট নেয় তারা। বিপরীতে বেলজিয়াম নেয় মাত্র চারটি। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। মাঝমাঠের অনেক আগে থেকে উঁচু করে থ্রু বল বাড়ান টবি আল্ডারভাইরেল্ড। প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে দিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোলটি করেন ফরোয়ার্ড বাতসুয়াই।
দুই মিনিট পরই আরেকটি দুর্দান্ত আক্রমণে বেলজিয়ান রক্ষণকে স্তব্ধ করে দেয় কানাডা। কিন্তু নিজেদের ভুলেই সমতায় ফিরতে পারেনি তারা। সতীর্থের ক্রস ছয় গজ বক্সের বাইরে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন তাহোন বিউকানান।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেলজিয়ামের ওপর আক্রমণ করতে থাকে কানাডা। ৪৯ মিনিটে ডেভিডের হেড একটুর জন্য গোলবারের বাইরে চলে যায়। ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। ডিবক্সের ভেতর বাতসুয়াইর শট ব্লক করে দেন লারিয়া।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোলের আবারো সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। কিন্তু ডেভিডের কিরা হেড দুর্দান্তভাবে রুখে দেন কর্তোয়া। ফলে কষ্টার্জিত জয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।