প্রকাশ: রোববার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ১২:৪০ এএম |

মুরুব্বীর নাম সখিনা বেগম। বয়েস ৮৪। নানান দুয়োরে দুয়োরে ঘুইরে এট্টা ভাতার কাড জুগাড় করিলেন। ম্যালা দিন ধইরে কাডেত্তে টাকাও তুইলেচেন। হটাস তার ভাতা বন্দ হইয়ে যায়। এ নিয়ে মেম্বার চিয়ারমেনগের বাড়ি কিম্বা ইউনিয়ন পরিষদে কম হাটাহাটি করেননি তিনি। জীবনের শেষ বয়সে আইসেও সিবা পাওয়ার জন্যি যার কাছেই গেচেন, পাইয়েচেন বালিশ চালাচলি খেলা। এ দেকায়েচে ওরে, সে দেকাইয়েচে তারে, এই কত্তি কত্তি কাইটে গেচে বেশ কিচু সুমায়। এলেকাত্তে কোন সুরাহা কত্তি না পাইরে খুনখুন কত্তি কত্তি গিলেন উপজিলা সুমাজ সিবা অপিসি। অপিসি যাইয়ে বড় সাহেবের সাতে কতাডা পাড়ার পর তিনি খাতা খতেন তলাশ কইরে কলেন, ভাতা আপনি তো পাবেন না। মুরুব্বী কলেন কেন বাপু , কি কারনে পাবো না? বড় সাহেব কলেন পাবেন কি কইরে, আপনি তো মইরে গেচেন। বাইচে থাকলি নাই এক কতা ছিলো।
খাতা খতেনের হিসেব মতে তিনি আগস্ট মাসের ৮ তারিকি মইরে গেচেন। তিনি মইরে গেচেন বিলে কাডও মইরে গেচে। আরো তিন মাস আগে দুইনেত্তে চইলে গেচেন এই কতা শুইনে তিনি কাইন্দে বুড়োন। সুমকির ওপর বইসে কতাবাত্তার কচ্চেন তাও অপিসার কলেন তিনি মইরে গেচেন তাই ভাতা বন্দ, ফ্যারাডা কি! পরে জানাজানি হইলো ইউনিয়ন পরিষদের চিয়ারম্যান তারে মৃত্যু দেকায়ে ভাতা বন্দ কইরে দেচেন। সেই কাডে তার কোচ্চের লোক টাকা তুইলে মচ্চিমুলামে খাচ্চে।
সখিনা বেগম নাটোরের লালপুর উপজিলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়াডের নূরুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনা গাবাগাবি হওয়ার পর সুম্বাদিকরা চিয়ারমেনরে তলাশ কত্তি গিলো। কনে ডাবি মাইরেচে বিলে না পাইয়ে তারে মুবালি কল কইরে ঘটনাডা জানতি চালি কলেন কোন সখিনা? বাড়ি কনে, কত লোকই তো দৈনিক মইত্তেচে, কোনডার কতা মনে রাকপো। এই সব তার মনে পড়চে না। পাল্লি পরে অপিসির দিকি এক পাক আসেন সাক্কাতে কতা হবেনে। কইয়ে লাইন চুড়ুত কইরে কাইটে দেচে।
কি সব্বেরাশে কতা কওদিনি বাপু। জামেনা কি পরিমান ফাস্টো হইয়ে যাচ্চে, মরার আগেই ভাতার কাড মরা বিলে বাতিল হইয়ে যাচ্চে ! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩