শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮ আশ্বিন ১৪৩০
                
                
☗ হোম ➤ পাঠকের কলাম
আজ মহাষ্টমী.....
শ্রাবণী সুর :
প্রকাশ: সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২, ১:৫১ এএম |
শারদীয়া দুর্গাপূজা বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব। দুর্গাপূজায় আদ্যশক্তি মহামায়া দুর্গা মায়ের পাশাপাশি অনেক গুলো শক্তির পুজা করা হয়। দূর্গা পূজা কেবল মাত্র পুস্পবিল্বপত্রের এবং ঢাক-ঢোলের পূজা নয়; ভক্তি ও শক্তির পুজা। আজ মায়ের মহাষ্টমী পূজা যথানিয়মে শুরু হয়েছে। 
অষ্টমীর সকাল মানেই নতুন জামাকাপড় পরে পূজা মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুরের সামনে বসা। তিনবার হাতে গঙ্গাজল নিয়ে আচমন করা।  হাতে ফুল নিয়ে  পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া।। সকলে মিলে মন্ত্র উচ্চারণ করা  “ ওঁ সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে, শরণ্যে ত্রম্ব্যকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে’’ ই অঞ্জলি প্রদান। সকল মেয়েই মা দুর্গার অংশ, তাই মৃন্ময়ী প্রতিমাকে পুজো করার পাশাপাশি কম বয়সের ছোট মেয়েদেরও পুজো করা হয় এদিন।  এই পূজাকে কুমারীপূজা বলে।    
কুমারীপূজা
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে আজ পূজা শুরু হবে ভোর সাড়ে ৬-৩০টায়। সকাল সাড়ে ১১-০০টায় শুরু হবে কুমারী পূজা।কুমারী পূজা কেন করা হয়, এ প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী  রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন, সব স্ত্রী লোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর প্রকাশ"।কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতি হয়ে উঠবে পুত-পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে শ্রদ্ধাশীল হবে নারী জাতির প্রতি। মুলত নারীজাতির প্রতি সন্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে এই পূজা করা হয়। সনাতন ধর্মে নারীকে সন্মানের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে। “নিজেদের পশুত্বকে সংযত রেখে নারীকে সন্মান জানাতে হবে”- এটাই কুমারী পূজার মূল লক্ষ্য। ১৯০১ সালে ভারতীয় দার্শনিক ও ধর্ম প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ সর্বপ্রথম কলকাতার বেলুড় মঠে নয়জন কুমারীকে পূজা  করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা হয়ে আসছে। 
সন্ধিপূজা 
দুর্গাপূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সন্ধিপূজা । অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথি শুরুর ২৪ মিনিটকে বলা হয় সন্ধিক্ষণ । এই সন্ধিক্ষণে তন্ত্রমতে করা হয় ‘সন্ধিপূজা '। অসুরনাশিনী দেবী দুর্গার আর এক অসুরদলনী রূপের পূজা। দেবী দুর্গা চন্ড ও মুন্ড নামে দুই ভয়ঙ্কর অসুরদের নিধন করেছিলেন। এই ঘটনাটিকে স্মরণ করার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপুজো করা হয়। 
সন্ধিপূজায় ১০৮টি পদ্মই মায়ের পায়ে নিবেদন করা হয়। মায়ের সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মাটির তৈরি ১০৮ টি প্রদীপ। সন্ধিপূজায় অনান্য উপকরণ হিসেবে লাগে স্বর্ণাঙ্গুরীয়ক (একটি), লোহা ও নথ (একটি), চেলির শাড়ি (একটি), শাড়ি (একটি), মধুপর্কের কাঁসার বাটি (একটি), থালা (একটি), ঘড়া (একটি), দধি, চিনি, মধু, ঘৃত, বালিশ (একটি), মাদুর (একটি), চাঁদমালা(একটি), ভোগ ও আরতির উপকরণ নৈবেদ্যর মধ্যে প্রধান নৈবেদ্য হিসাবে লাল ফল এবং পুষ্পাদির মধ্যে জবাফুল থাকতেই হবে। সন্ধ্যায় আরতী করার মধ্যে দিয়ে অষ্টমী পূজার সমাপ্তি হয়।


গ্রামের কাগজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন


সর্বশেষ সংবাদ
যশোর রোডে ফের ‘ শরণার্থীদের’ ঢল
এখনও অভিযান শুরু করেনি যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ
চাঁচড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা
মণিরামপুরে মোস্তফা ফরিদের মতবিনিময়
রোটারি ক্লাব অব যশোর ইস্টের হুইল চেয়ার বিতরণ
৫০ টাকা বেশি নেওয়ার অপরাধে জরিমানা দিতে হলো দু’ হাজার টাকা
এসএসসি উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা প্রদান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
যশোরেই চালু হলো পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র
রাজধানীতে ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাই ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫
লাগেজের মধ্যে মরদেহের ৮ টুকরো
দুদকের মামলায় খোলাডাঙ্গার লুৎফর কারাগারে
অবৈধ দখলদারের কারণে শুরু করা যাচ্ছে না নতুন ভবন নির্মাণের কাজ
যুবককে পিলারে বেঁধে মারপিট বাবা-ছেলে আটক
কবরস্থান থেকে ৪ কঙ্কাল চুরি
আমাদের পথচলা | কাগজ পরিবার | প্রতিনিধিদের তথ্য | অন-লাইন প্রতিনিধিদের তথ্য | স্মৃতির এ্যালবাম
সম্পাদক ও প্রকাশক : মবিনুল ইসলাম মবিন | সহযোগী সম্পাদক : আঞ্জুমানারা
পোস্ট অফিসপাড়া, যশোর, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ০২৪৭৭৭৬২১৮০, ০২৪৭৭৭৬২১৮১, ০২৪৭৭৭৬২১৮৩ বিজ্ঞাপন : ০২৪৭৭৭৬২১৮৪, ই-মেইল : [email protected], [email protected]
কপিরাইট © গ্রামের কাগজ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft