gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছে
প্রকাশ : রবিবার, ১৪ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৩৪:০০ এ এম , আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৩:০৫ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-04-14_661b5c529caeb.jpg

রাজধানীর বটমূলে নতুন বছরের নতুন দিনটি উদযাপনে সবচেয়ে বড় উৎসব বসেছে। রমনার বটমূলে প্রতিবারের মতো এবারো সুরের মাধুরীতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জয়গানের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ছায়ানট। ছায়ানটে অতীতের সব জীর্ণতা ঘুচিয়ে নতুনত্বের আহ্বানে সব শ্রেণিপেশার মানুষ স্বাগত জানাচ্ছেন নববর্ষকে। ফলে পয়লা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নিয়েছে এক বিপুল বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।
এবার পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। তাতে ছায়ানটের আহ্বানে ভোগবাদ নয়, স্বার্থপরতা নয়, মনুষ্যত্বকে পাওয়ার অভিলাষই থাকছে। প্রায় ১৭০ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এবার। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ বছর প্রথমবারের মতো গাইছেন প্রায় ৮০ জন শিল্পী।
এ অনুষ্ঠানে একক গান গাইবেন ১৮ জন শিল্পী। আর থাকবে কিছু একক পাঠ। সব মিলিয়ে ৩০টি পরিবেশনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন।
আয়োজকরা জানান, বিশ্বব্যাপী বস্তুর প্রতি মানুষের আকর্ষণ যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে কমেছে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ। যার ফলে ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবে এই সংকটে যেন মানুষ আশাহত না হয়, একে-অপরের পাশে থেকে, হাতে হাত রেখে চলার বার্তাই ছড়িয়ে দিতে এই নান্দনিক আয়োজন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন শতাধিক ক্ষুদে ও বড় শিল্পী। দীর্ঘ আড়াই মাস অনুশীলন সেরে তারা রমনার বটমূলের মঞ্চে উঠেছেন। দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজেও এটি সরাসরি দেখানো হচ্ছে।
ছায়ানট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে। ষাটের দশকের পাকিস্তানি শাসনামলের গনগনে রাজনৈতিক আবহাওয়ায় ১৯৬৭ সালে শুরু হয়েছিল তাদের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। এরপর থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে গানে গানে নতুন বাংলা বছরকে আবাহন করে আসছে ছায়ানট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু এর ব্যত্যয় ঘটেছিল। ২০০১ সালের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা বোমা হামলা করেছিল। তাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবু কোনো বছরই অনুষ্ঠানে ছেদ পড়েনি। করোনা অতিমারির দুটি বছরও ছায়ানট নববর্ষকে বরণ করেছে অনলাইনে। গত বছর রমজান মাসে পয়লা বৈশাখ হওয়ায় সংযমের ভেতর দিয়ে অনুষ্ঠানটি হয়। এবার পুরো দমে পুরনো আমেজ ফিরে এসেছে।

আরও খবর

🔝