শিরোনাম |
বিশ্বে বৈষম্য, শোষণ, দমন ও হত্যার ভুরিভুরি উদাহরণ থাকলেও ইসরায়েলিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে বর্বর আচরণ করে যাচ্ছে, এমন নজির আর নেই। হলোকাস্টের সময় নাৎসিরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের আচরণ করেছিল, সেটাই হয়তো এর একমাত্র তুলনা হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়।
ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবশে বাধায় দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকির মধ্যে পরেছে। ইসরায়েলির নৃশংস হামলা আর ত্রাণবাহি যানবাহনে বাধা দেওয়ায় এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’ বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। তবে মার্কিন সরকারের অধীনে পরিচালিত বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা-ইউএসএইড ইতোমধ্যেই জানিয়েছে গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। ফলে হোয়াইট হাউসের মন্তব্য ইউএসএইডের বক্তব্যকে হালকা করে দেখানোর চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি ‘আসন্ন’।
এর আগে, ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেছিলেন যে, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে তা মূল্যায়ন করা "বিশ্বাসযোগ্য"।
প্রেস সেক্রেটারি জানান, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। ফলে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। তাই আমরা অবশ্যই এই প্রতিবেদনগুলি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সাহায্য বাড়াতে চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি।
গাজায় সাহায্যের প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসরায়েলকে চাপ দিতে থাকবে’ বলে জানান তিনি।
এদিকে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরও ৪৫ জন। এতে গাজায় সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৪৫ জনে। অপরদিকে আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯৪ জন।