gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
শেষ সময়ের কেনাকাটায় সরগরম ঈদ বাজার
প্রকাশ : সোমবার, ৮ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:০৮:০০ পিএম
মহিউদ্দিন সানি:
GK_2024-04-08_661416c72b035.jpg

ঈদ ঘিরে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় সরগরম যশোরের ঈদ বাজার। শহরের অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাত-সর্বত্রই ধুম কেনাকাটা চলছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই যেনো দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না। জামা কাপড় কেনা শেষে জুতো, স্যান্ডেল, প্রসাধনী কেনার পরও কিছু বাকি থেকে যাচ্ছে কিনা তা নিয়েও ভাবনার অন্ত নেই ক্রেতাদের।
যশোর শহরে রমজান মাসের মাঝামাঝি থেকে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হলেও কেনাকাটা ঠিক জমছিলো না। ২৫ রোজার পর থেকে পরিস্থিতি পুরো পাল্টে যায়, জমে উঠতে থাকে কেনাকাটা।
সোমবার যশোর শহরের এইচ এম এম রোড, কালেক্টরেট মার্কেট, মুজিব সড়ক, ফেন্সি মার্কেট, পুলিশ প্লাজা, চুড়িপট্টিসহ বিভিন্ন অভিজাত মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, এখন ক্রেতারা চেষ্টা করছেন যতো স্বল্প সময়ে নিজের পছন্দের পণ্যটি কিনতে। কেউ কেউ পছন্দের জামা খুঁজতে অসংখ্য দোকান ও মার্কেটে ঘুরলেও বেশিরভাগ ক্রেতা দুই তিনটি দোকান ঘুরে কেনাকাটা শেষ করতে চাইছেন। ছেলেদের পছন্দ পাঞ্জাবি ও দুই ফিতার জুতা। মেয়েরা বেশি কিনছেন থ্রিপিচ, শাড়ি ও নাগরা, স্লিপার, বেল্টসহ জুতা। শিশুদের পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জির সাথে কেডস এবং লাইটিং জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
কালেক্টরেট মার্কেটে কেনাকাটা করছিলেন নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য আজ কেনাকাটা করবো। কিন্তু সবকিছুর দাম বেশি। এজন্য যা পছন্দ হচ্ছে তা কিনতে পারছিনা। আগে ছেলেমেয়েদের জন্য কিনছি, তারপর নিজেদের জন্য কিনবো।’
রাজারহাটে একটি মসজিদে ঈমামতি করেন আমানতউল্লা। কালেক্টরেট মার্কেটের একটি দর্জির দোকানে নিজের জন্য পাঞ্জাবি বানাতে দিয়েছিলেন তিনি। বলেন, ‘স্ত্রী ও মেয়ের জন্য কেনাকাটা করতে হবে এখনো। সময় একেবারেই শেষ। এখন আর দোকানে দোকানে ঘোরার সুযোগ নেই। কিন্তু কেনাকাটা বাকি থেকে গেছে। তাই দ্রুত সময়ে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছি। এই ফাঁকে নিজের জন্যে বানাতে দেয়া পাঞ্জাবিটাও আজ নিয়ে যাবো।’
শহরের আর এন রোডের একজন পার্টস ব্যবসায়ী পাঁচজন কর্মীকে নিয়ে শহরের মুজিব সড়কের একটি ব্র্যান্ডের কাপড়ের দোকানে কেনাকাটা করছিলেন। সবার জন্য পাঞ্জাবি কিনবেন তিনি। বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম, ভিড়ের কারণে মার্কেটে যেতেই বিরক্ত লাগছে। এখানে ঝামেলা তুলনামূলক কম। তাই ওদের নিয়ে এখানে এসেছি। এখান থেকেই কিনে নেবো।’
শহরের বিপণীকেন্দ্রে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা ভিড় করছেন। এইচ এম এম রোড ও পুলিশ প্লাজায় পা রাখার জায়গা নেই। একই স্থানে জুতা, জামা, প্রসাধনীসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনছেন ক্রেতারা।
শহরের ফুটপাতেও এখন উপচেপড়া ভিড়। সোমবার সন্ধ্যায় মুজিব সড়কের দড়াটানা এলাকার ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভিড়ের জন্য হাঁটার উপায় নেই। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে সেখানে ভ্যাপসা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবুও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান ভরসা এই ফুটপাত। পছন্দের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, জুতো কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
টুপি ও আতরের দোকানগুলোতে শেস মুহূর্তে বেচাকেনা জমে উঠেছে। দড়াটানায় একটি টুপির দোকানে কথা হয় সামাদ সরদারের সাথে। তিনি বলেন, ‘সব কেনাকাটা মোটামুটি শেষ। কয়েকটি টুপি কিনবো। নিজের জন্য, ভাইয়ের জন্য ও ভাতিজার জন্য।’
মাসজুড়েই চলেছে ঈদের কেনাকাটা। তবে শেষ সপ্তাহে বেড়েছে ক্রেতার উপস্থিতি। বাকি দিনগুলোতেও ভালো বিক্রির আশা ব্যবসায়ীদের। তারা বলেন, চাঁদরাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। তবে বেশি চাপ যাবে শেষ দুই দিনই।

আরও খবর

🔝