gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
যশোর জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে খাবারের মান
প্রকাশ : শুক্রবার, ৫ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৩:০০ পিএম , আপডেট : বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:০১:২৯ পিএম
আশিকুর রহমান শিমুল:
GK_2024-04-05_66102a43bdf87.jpeg

সময়ের সাথে বাড়ছে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের খাবারের মান। রোগীদের দেয়া খাবার নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার হাসপাতালারের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদের নানা পরিকল্পনা এবং নির্দেশিত নীতিমালা বাস্তবায়নে বেড়েছে খাবারের মান।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সম্প্রতি হাসপাতালের রান্নাঘরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল মালেককে। খাদ্য তালিকা অনুযায়ী প্রতি বুধ, শুক্র ও রোববার ২ বেলায় রোগীদের জন্য দেয়া হচ্ছে মাছ। শনি, সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দেয়া হয় মুরগী। সাথে প্রতিদিনই দেয়া হচ্ছে সবজি এবং সকালে প্রতিদিন নাস্তায় থাকছে কলা, রুটি এবং ডিম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সতেজ সবজি এবং তাজা মাছ সরবরাহ করায় কোনো সমস্যা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন আব্দুল মালেক।
আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর চেষ্টা চালাচ্ছি খাবারের মানে কীভাবে রোগীদের সন্তুষ্ট করা যায়। পাশাপাশি সুস্বাদু, পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা যায় সে চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।’
তিনি জানান, প্রতিদিন ২৬৫-২৮০ জন রোগীর জন্য উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে কথা হয় মর্জিনা বেগম নামে একজন রোগীর স্বজনের সাথে। তিনি বলেন, ‘আগেও রোগী নিয়ে কয়েকবার হাসপাতালে থেকেছি। তখন খাবারের অবস্থা ভালো ছিলো না। বিশেষ করে ডালের অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ যে খাবার দেয়া হচ্ছে তা খুবই ভালো লেগেছে। মাছ এবং সবজিতে মসলা দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা বাড়ি থেকে খাবার আনা বন্ধ করে দিয়েছি হাসপাতালের দেয়া খাবার ভালো পেয়ে।’
মডেল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন খলিলুর রহমান বলেন, আগে হাসপাতাল থেকে নিম্ন মানের খাবার সরবরাহ করা হতো। রোগীরা কেউ মুখে তুলতে পারতো না। বর্তমানে উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে খাবারের পরিমাণও কম ছিলো। রোগীদেরকে অধাপেট খেয়ে থাকতে হতো। বর্তমানে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানান, রোগীর উন্নত খাবার পরিবেশনে নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমান খাবারের মান খুবই ভালো। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব সময় রান্নাঘরে নজরদারি থাকবে। কোনো প্রকারে আর রোগীকে নিম্ন মানের খাবার পরিবেশ করতে দেয়া হবেনা। এ ব্যাপারে যদি কেউ অসহযোগিতা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

🔝