gramerkagoj
শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ থানায় ৯ জনের নামে হত্যা মামলা, কর্মচারী আটক

মুল্লুক চাঁদ ও সঞ্জয়ের নির্দেশে বায়োজীদকে পিটিয়ে হত্যা
প্রকাশ : বুধবার, ২৭ মার্চ , ২০২৪, ১০:০০:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৩:০৫ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-03-27_6604438d6fd53.jpg

যশোরে চালের আড়তে প্রকৌশলী বায়োজিদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদসহ নয় জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলায় চালের আড়তের কর্মচারি হাফিজুর রহমান খোকাকে আটক করেছে। মুল্লুক চাঁদ ও তার ভাই সঞ্জুয় চৌধুরীর নির্দেশে এবং তাদের উপস্থিতিতে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক বিপ্লবের মাধ্যমে বায়েজিদকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে কর্মচারি হাফিজুর রহমান খোকা। গত ২৫ মার্চ রাতে নিহতের মা খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার হাজী ইসমাইল লিংক রোডের মৃত নজরুল ইসলাম সিকদারের স্ত্রী দিলরুবা বেগম কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলাটি করেছেন।
আটক আসামি হাফিজুর রহমান খোকা মণিরামপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে।
এ মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলেন, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি মৃত চৌধুরী শহিদুল ইসলাম নয়নের দুই ছেলে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাদ ও রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয়, চৌধুরী কন্সস্ট্রাকশনের সাবকণ্টাক্টর শহিদুল ইসলাম, মুল্লুক চাদের চালের আড়তের কর্মচারী রাজু, রাজন, শাহ আলম, শহরের লোন অফিসপাড়ার জসিম মোল্লা, হাজী আব্দুল করিম রোডের মহব্বত আলী মন্টু ।
আটক হাফিজুর রহমান খোকা জানিয়েছেন, যশোরের বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাদ ও তার ভাই সঞ্জুয় চৌধুরীর ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এমব্লকে একটি বিল্ডিং নির্মাণ কাজ চলছে। ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হাসান সেখানে ৩০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। বায়েজিদ হাসান ও তার স্ত্রী তাকিয়া তুজ সাদিয়া সেখানেই বসবাস করতেন। গত ১৫ মার্চ তারা স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে আসেন। ২৪ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মুল্লুক চাদের কর্মচারি শহিদুল ইসলাম, রাজু ও রাজনসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জন বায়েজিদের খুলনার বাড়িতে যান। তাকে নিয়ে মণিরামপুর হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর শহরের কাসারীপট্টির মুল্লুক চাঁদের চালের আড়তে যান। আড়তে পৌছানো মাত্র মুল্লুক চাঁদ ও তার ভাই সঞ্জয় চৌধুরীর নির্দেশে বায়েজিদের হাত-পা বেধে ফেলে কর্মচারিরা। এরপরে মুল্লুক চাঁদ, সঞ্জয়, শহিদুল, রাজু, রাজন, শাহ আলম, জসিম, মহব্বত আলী মন্টু, মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন কুড়ালের আছাড় দিয়ে বায়েজিদকে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। তাদের মারপিটে অজ্ঞান ও নিস্তেজ হয়ে পড়লে মুল্লুক চাদ পরিচয় দিয়ে বায়েজিদের মায়ের কাছে মোবাইল করা হয়। এসময় বায়েজিদের কাছে ৫ লাখ টাকা পাওনা আছে এবং সেই টাকা পরিশোধ করে তাকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। আর টাকা না দিলে তাকে মারপিট অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়। একপর্যায় মারপিট করে ফেলে চলে যায় আসামিরা। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, মামলার পর পুলিশ হাফিজুর রহমান খোকাকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। কর্মচারীরা পলাতক থাকায় বর্তমানে চালের আড়তটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই শরীফ আল মামুন জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই চালের আড়তের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলো তারা। কিন্তু সব যন্ত্রাংশ খোলা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়েছে যন্ত্রাংশ আগে থেকেই সরিয়ে রাখা হয়েছে।

 

আরও খবর

🔝