gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
সর্বজনীন পেনশন নিয়ে কাজ করতে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশনা
প্রকাশ : রবিবার, ২৪ মার্চ , ২০২৪, ০২:২১:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৩:০৫ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-03-24_65ffdf0944af1.jpg

দেশের মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করছে সরকার। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনা। এই স্কিম নিয়ে কাজ শুরু করতে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
১। উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম :
১.১। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সম্যকভাবে অবহিত ও আগ্রহী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, র‍্যালি, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। এ উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
১.২। জেলা ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় 'সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন অগ্রগতি' শীর্ষক এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১.৩। অধিক জনসমাগম হয় এমন স্থান যেমন: হাট-বাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা ইত্যাদি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১.৪। সম্ভাব্য টার্গেট জনগোষ্ঠীর মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত লিফলেট, বুকলেট, ফ্লায়ার ইত্যাদি বিতরণ করা এবং এ স্কিমের সুফল সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে হবে।
১.৫। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে হেল্পডেস্ক, ফ্রন্টডেস্কের মাধ্যমে আসা সেবা গ্রহীতাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে ধারণা ও অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। এসকল হেল্পডেস্ক, ফ্রন্টডেস্ক থেকে সেবা প্রার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত তথ্যাদি সরবরাহ করতে হবে।
১.৬। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত পৃথক ডেস্ক স্থাপন করে সমরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
১.৭। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে 'সর্বজনীন পেনশন স্কিম' বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
১.৮। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল এনজিওকে এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।
১.৯। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরকে এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।
১.১০। উঠান বৈঠক, তথ্য আপা, কমিউনিটি ক্লিনিক ইত্যাদি মাধ্যমে প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে টিভি স্কুল প্রদর্শনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার পূর্বে এবং মধ্য বিরতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে হবে।
১.১১। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করতে হবে।
১.১২। ইমাম/পুরোহিতদের মাধ্যমে মসজিদ/ উপসনালয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান/ খুতবা কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
১.১৩। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সম্যকভাবে অবহিত ও আগ্রহী করার লক্ষ্যে বহুমুখী প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
১.১৪। এসব নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে প্রযোজ্য অন্যান্য যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।
২। নিবন্ধন কার্যক্রম :
২.১। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে তার সকল ব্যবস্থা রাখতে হবে।
২.২। ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
২.৩। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেয়ার প্রক্রিয়ায় কোন সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
২.৪। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রমমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২.৫। নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
৩। মনিটরিং কার্যক্রম :
৩.১। মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
৩.২। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৩.৩। যথাযথভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালু করাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরও খবর

🔝