gramerkagoj
শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
একাত্তরের উত্তাল মার্চ
প্রকাশ : রবিবার, ১৭ মার্চ , ২০২৪, ০৯:২৬:০০ এ এম , আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৪৩:০৫ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-03-20_65faa23f549d3.jpg

১৭ মার্চ, ১৯৭১। ‘সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম/ চলবেই দিনরাত অবিরাম’ এ রকম অনেক উদ্দীপনামূলক গান টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে। সে ছিল আশ্চর্য এক জাগরণের কাল। সকল বাঙালির চেতনা স্থির ছিল একটি মাত্র লক্ষ্যবিন্দুতে, যার নাম স্বাধীনতা।
একাত্তরের উত্তাল এই দিনে পাকিস্তানের উর্ধতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। খোদ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান করে নিশ্চিত হন এ অংশে কার্যত পাকিস্তানের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনেই চলছে সবকিছু। স্বাধীনতার প্রশ্নে বীর বাঙালির অকুতোভয় সংগ্রাম আর রণপ্রস্তুতিতে পাক প্রেসিডেন্টের বুঝতে বাকি থাকে না পাকিস্তানের অখন্ডতা আর রক্ষা করা সম্ভব নয়।
একাত্তরের ১৭ মার্চ ছিল বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫২তম জন্মদিন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মিছিল করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসভবনে গিয়ে তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সেদিন দুপুরে ধানমন্ডির বাসভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসা স্বাধীনতাকামী বাঙালির উদ্দেশে জন্মদিনের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কামনা জনগণের সার্বিক মুক্তি।’
একাত্তরের এই দিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় দফা বৈঠকে মিলিত হন পাকি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। বৈঠক প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। কড়া সামরিক প্রহরায় প্রেসিডেন্ট ভবনে এই বৈঠক হয়। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তৃতীয় কেউ উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠক শেষে দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের বঙ্গবন্ধু বলেন, আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। তবে আলোচনার পরবর্তী সময়ও ঠিক হয়নি। আলোচনা চলছে। লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এর বেশি আর কিছু আমার বলার নেই।
এ সময় জনৈক বিদেশী সাংবাদিক বাংলাদেশের নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে জানতে চান, আজ ৫২তম জন্মদিনে আপনার সবচেয়ে বড় কামনা কী? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, জনগণের সার্বিক মুক্তি।

আরও খবর

🔝