শিরোনাম |
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ব্যতীত আরও যে আটটি দেশের ত্রাণের এ চালানে যুক্ত হয়েছে, সেই দেশগুলো হলো, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।
মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে। ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রাণ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ পর্যন্ত সেখানে যত ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে, সেসবের মধ্যে এই বহরটি সবচেয়ে বড়। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে বহরটি সাজানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ৯টি দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি বলে জানান আবদেল-আলীম কাশতা।
এবারের ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭২ হাজার। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। সেখানে ত্রান নিতে আসা নারী ও শিশুদের উপর ইসরায়েলিরা হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে।