শিরোনাম |
যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের একটি শিশুসদন এতিমখানা মাদ্রাসায় আব্দুল আলিম নামে এক শিশু ছাত্রকে আটকে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছেন শিক্ষক। সে এড়েন্দা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। উপর্যুপরি বেত্রাঘাতের সময় নান আকুতি করলেও থামেননি ওই শিক্ষক।
ওই পৈশাচিক ঘটনায় এলাকায় ছি ছি রব উঠছে। খবর শুনে এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ছুটে যান মাদ্রসায়। আর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত শিক্ষক মোসাদ্দিক বিল্লাহকে পাকড়াও করে পুলিশে দিয়েছেন। আটক মোসাদ্দিক বিল্লাহ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের গোলাম সরোয়ারের ছেলে। এ ঘটনায় আটক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মামলা দেয়া হয়েছে।
থানা সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল আলিম (১৩) পাশের দূর্গাপুর শিশুসদন এতিমখানা মাদ্রাসার নাজেরার ছাত্র। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই ছাত্র মাদ্রাসায় পড়া না পারায় শিক্ষক মোসাদ্দিক তাকে বেত্রাঘাত করে পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপর ওই ছাত্রকে সারাদিন মাদ্রাসা থেকে বের হতে দেয়নি। পরে ভুক্তভোগী ছাত্র ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চিৎকার শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেন ওই শিক্ষক। সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে বাবা-মাকে জানায়। এরপর প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন ও এলাকার লোকজন হতবাক হয়ে যান। তারা একাট্টা হয়ে ও মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোসাদ্দিককে আটকে ফেলেন। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ইসমাইল হোসেনের অফিসে নিয়ে যান। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। আটক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিশু ছাত্র নির্যাতন ঘটনার নেপথ্যে শুধু পড়া না পারা, নাকি অন্য কোনো কারণ আছে তা গভীরভাবে তদন্ত করবে পুলিশ।