শিরোনাম |
ভারণের সাহায্যে জিন হাজির করে নিঃসন্তান নারীর সন্তান জন্ম দেয়ার সক্ষমতার কথা বলে কৌশলে সোনার গহনা আত্মসাতের মামলায় ভণ্ড কবিরাজ জুয়েল শিকদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। অভিযুক্ত জুয়েল শিকদার পাবনার আমিনপুরের দূর্গাপুর নতুনপাড়ার মনি শিকদারের ছেলে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই রতন মিয়া।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের রায়পাড়া মাদ্রাসা রোডের হুমায়ুন কবির জনি বিবাহিত জীবনে নিঃসন্তান। জুয়েল তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ভারণের মাধ্যমে কথিত জিন হাজির করে জানান, আগামী ৮ মাস ১৪ দিন পর তার বাচ্চা হবে। পরদিন বিকেলে তিনি ফের বাড়িতে আসেন এবং বলেন তার বাড়ির সোনার ও রূপার গহনা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি পান এবং গোসল করতে হবে। এ কথায় বিশ্বাস করে আলমারি থেকে ৩টি সোনার আংটি, ১টি চেইন এবং ২ ভরি রূপার গহনা কবিরাজ জুয়েলের হাতে দেন হোসনে আরা মুক্তি। জুয়েল তার সামনে একটি পাত্রে পানিতে ভিজিয়ে কৌশলে অন্য গহনা দিয়ে আসল গহনা নিয়ে দ্রুত চলে যান।
এ ঘটনার পর যশোরের পিবিআইতে একটি অভিযোগ দেন জনির স্ত্রী হোসনে আরা মুক্তি। পিবিআই কর্মকর্তারা জুয়েলকে আটক করে।