gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ অস্ত্র-গুলি ও মাদক উদ্ধার

মুখে সুপারগ্লু লাগিয়ে ধর্ষণকারী লম্পট এনামুল আটক
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ১০:০৬:০০ পিএম
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
GK_2024-02-16_65cf8d630f7f6.png

খুলনার পাইকগাছায় গৃহবধূর চোখ-মুখে সুপার গ্লু আঠা দিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের মূলহোতা এনামুল জোয়াদ্দার (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সে উপজেলার গদাইপুর এলাকার একরামুল জোয়াদ্দারের ছেলে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি সুশান্ত সরকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। পুলিশ জানায়, আটকের পর আলোচিত ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা এনামুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার মায়ের কাছ থেকে একটি চোরাই মোবাইল ও পাশ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্নকার সুমন হালদারের (৪০) কাছ থেকে চোরাই স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, পুলিশ ওই মামলায় রাড়ুলীর ছামাদ সরদার (৪৫) কে আটক করে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিমের স্বামী উপজেলার দক্ষিণ রাড়ুলী গ্রামের বাসিন্দা কাঁচমাল ব্যবসায়ী গড়ইখালী হাটের উদ্দেশ্যে কাঁচামাল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ওই দিন রাতে দুর্বৃত্তরা মান্নানের একতলা পাঁকা ভবনের চিলেকোঠার দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে প্রথমে ওড়না দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর কানে থাকা দু’আনা ওজনের স্বর্নের দুল, গচ্ছিত ১১ হাজার টাকা ও গৃহবধূর ব্যবহৃত ১টি আইটেল মোবাইল নিয়ে চলে যাওয়ার আগে গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা দিয়ে ধর্ষণ শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর ভোররাতে প্রতিবেশি বৃষ্টি খাতুন ভিকটিমের গোঙ্গানির আওয়াজ পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানা পুলিশে খবর দেয়। এরপর সোমবার সকালেই তাকে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও পাইকগাছা থানার ওসি ওবাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমের বিছানা থেকে রক্তমাখা বাঁলিশ, কাঁথা-কাপড়সহ ১টি সাবল উদ্ধার করেন। সর্বশেষ এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে লুটপাট ও ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করেন।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলোচিত ধর্ষণ মামলার মূলহোতা এনামুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে ১টি দেশি তৈরী ওয়ান শুটারগান, ১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।
তিনি বলেন, তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্য একটি চুরির মামলায় স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় আটক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তার ব্যাপক জিসাজ্ঞাবাদ জরুরি। তবে মামলার তদন্ত স্বার্থে বিস্তারিত পরে জানানোর কথা বলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও খবর

🔝