gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
পিকনিককে সামনে রেখে বেড়েছে মাংসের দাম
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৯:৪৮:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2024-02-16_65cf8815a5004.jpg

পিকনিকের মৌসুমকে কেন্দ্র করে যশোরে মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। গত এক মাসে দফায় দফায় দাম বাড়ে মুরগির। অব্যাহত রয়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। তবে, কমেছে আলুর দাম।
পিকনিকের মৌসুমে মুরগির দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় বাড়লো মুরগির দাম। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৯০ টাকা কেজিতে তা মাসের শেষে গিয়ে ঠেকেছে ২০০ টাকায়। চলতি মাসের শুরুতেও সে দর অব্যাহত ছিল। তবে, শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২১০ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। সোনালি মুরগি ৩০০, লেয়ার মুরগি ৩৩০ ও দেশি মুরগি ৫২০ টাকায় বিক্রি হয়। গরুর মাংস ৭০০ ও খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। অন্য মশলায়ও চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৮০টাকা কেজিতে। আদা ২২০ থেকে ৩০০ টাকা। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এলাচ এক হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লবঙ্গ এক হাজার ৬০০ থেকে দু’হাজার ২০০, দারুচিনি ৪৫০ থেকে ৫০০ এবং গোলমরিচ ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।
তবে, মৌসুম শেষে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ৩০ টাকায়। সবজির দামও কমতে শুরু করেছে। বাধাকপি, পেঁয়াজের কলি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মুলা ও গাজর ৩০ থেকে ৪০, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০, শিম ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০, মটরশুটি ৮০ থেকে ১০০, ব্রোকলি ৪০, বিটকপি ৫০, ক্যাপসিকাম ১৫০ থেকে ২২০, মেটে আলু ও মিষ্টি আলু ৬০, মানকচু ৫০, লাউ ৫০ থেকে ৬০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০, উচ্ছে ও কচুরমুখি ৮০, কাঁচকলা ৩০ থেকে ৪০, পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ৮০, কচুরলতি ও শসা ৬০ এবং কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে,কমেনি চালের দাম। প্রতি কেজি স্বর্ণা (মোটা) চাল ৪৮ থেকে ৫২, মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২, সুপার মিনিকেট ৬৪, কাজললতা ৫৪ থেকে ৬২, আঠাশ ৫৬ থেকে ৫৮, বাসমতি ৭২ থেকে ৭৬ ও নাজিরশাইল ৭২ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুগ ডালে বাড়তি দাম অব্যাহত রয়েছে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪৫, ছোলার ডাল ৯০ থেকে ১১০, বুটের ডাল ৭০, চিনি ১৪৫ থেকে ১৬০, লবণ ৪০, খোলা আটা ৫০, প্যাকেট আটা ৫৫, খোলা ময়দা ৬৫, প্যাকেট ময়দা ৭০, খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা লিটারে বিক্রি করছে।
অন্যদিকে,ডিম বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। ৪৪ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে ডিম। সোনালি মুরগির ডিমের দাম ৫৬ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৬৪ ও হাঁসের ডিম ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোয়েল পাখির ডিম ১২ টাকা হালি। ১২টি ডিমের দাম বক্স ১৪৫ টাকা। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দু’হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরও খবর

🔝