gramerkagoj
বুধবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ক্যান্টনমেন্ট কলেজে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব
প্রকাশ : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০৮:০৯:০০ পিএম , আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৪০:৪০ পিএম
মিনা বিশ্বাস:
GK_2024-02-10_65c783d23eecd.jpg

পিঠাপুলির বাংলায় খেজুরের রস ও গুড় অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। খেজুরের রসের স্বাদ ও ঘ্রাণে পিঠাপুলি পায় বাড়তি মাত্রা। শত ব্যস্ততার মাঝেও তাই নগর জীবনে মানুষ একটু সময় পেলেই ফিরে যায় পুরনো ঐতিহ্যে। চলমান নাগরিক জীবনে মোগলাই, ফাস্ট ফুড, চাইনিজ, থাই, ইটালিয়ান, স্পানিশ খাবার জায়গা করে নিলেও আজও বাংলার মানুষ ঠিকই পিঠাপুলির স্বাদ ভোলেনি। কোনও খাবার এ স্বাদ কে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। যা রয়ে যাবে যুগ থেকে যুগান্তরে, শতাব্দীর পর শতাব্দী।
অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা, প্রথম স্বাধীন জেলা এমন অনেক কিছুতেই যশোর প্রথম। খেজুর রস ও গুড়, নকশী কাঁথা, ফুলের রাজধানী মাইকেল মধুসূদনসহ গুণিজনের গর্বিত ভূমি এ যশোর সারা বাংলায় সেরা তার আপন মহিমায়। শত শত বিশেষণেও যেন শেষ হয় না যশোরের বন্দনা। তারই একটি অংশ এবং ঐতিহ্য যশোরের খেজুরের রস ও গুড়। যা থেকে তৈরি হয় অতুলনীয় স্বাদের পিঠাপুলি।
‘শীতের খুশী, শীতের আমেজ পিঠাপুলির গন্ধ, জীবন জুড়ে বয়ে চলুক স্বপ্ন সুখের ছন্দ’। এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট কলেজ যশোরে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। এ উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গনে নানা স্বাদের পিঠার পসরা বসে। রস চিতই, রস পুলি, পাকান, পাটিসাপটা, কুলি, ভাপা, চিতই, ঝাল পিঠা, ছিটা রুটি, ডোনাট, নকশি পিঠা, সুন্দরী পাকান, দুধ পাকান, নিমকি, ডিম ঝুড়ি, ছাঁচের পিঠা, মালপোয়া, পেপের নীল জর্দা, গোলাপ পিঠা, হৃদয় হরণ, মুগ পাকান, কাঠালি পিঠা, মাছের পুলি, তেজপাতা পিঠা, গণিত পিঠার মতো অভিনব পিঠা তৈরি করে চমকে দেন শিক্ষার্থীরা।
কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিনব গণিত পিঠা প্রদর্শন করেন। এমনিভাবে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা শতাধিক পিঠা প্রদর্শন করেন উৎসবে।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি, জি কর্ণেল এডমিন এরিয়া সদর দপ্তর যশোর সেনানিবাস। উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল নুসরাত নুর আল চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেছার আহাম্মদ ফারুক, অধ্যাপক কাজী ইকবালুর রশিদ, অধ্যাপক ডক্টর তবিবর রহমান, পিঠা উৎসবের আহবায়ক অধ্যাপক সাদিয়া হোসেন, ইজারদার হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম.এম আনোয়ারুল ইসলামসহ কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

আরও খবর

🔝