gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০
gramerkagoj
ভারতের উত্তরাখণ্ডে মসজিদ-মাদ্রাসা ভেঙে ফেলার সময় সহিংসতায় ৪ জন নিহত
প্রকাশ : শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪, ০২:৫৫:০০ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
GK_2024-02-09_65c5df44dba9a.jpg

ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে মাদ্রাসা ও মসজিদ ভেঙে ফেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক সহিংসতা। দাঙ্গায় কমপক্ষে চার জন নিহত এবং আরও ২৫০ জন আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে সেখানে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশও দেয়া হয়েছে। স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার আদালতের আদেশের পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল হলদওয়ানির ভানভুলপুরা এলাকায় একটি মাদরাসা এবং সংলগ্ন মসজিদ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই মাদরাসা ও মসজিদকে অবৈধ বলে গণ্য করার পর সেটি ভেঙে ফেলা হয়। তবে মাদরাসা ও মসজিদ ভাঙার এই পদক্ষেপটি ওই এলাকায় জনতার তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়।
এনডিটিভি বলছে, সংঘর্ষের ফলে ৫০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, পৌরসভার কর্মী এবং সাংবাদিকরাও সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতা কর্মকর্তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে এবং জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে থানার বাইরে গাড়িতে আগুন দেওয়ায় সহিংসতা বেড়ে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুলডোজার দিয়ে ধর্মীয় এই ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলার সময় নারীসহ বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙ্গে এবং পুলিশের সাথে উত্তপ্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে থাকে। বিক্ষুব্ধ জনতা ২০টিরও বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং পুলিশের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নৈনিতাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা সিং বলেন, ‘পুলিশ কাউকে উসকানি দেয়নি। তা সত্ত্বেও, তাদের উপর হামলা করা হয়েছিল। এমনকি একটি পুলিশ স্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছিল এবং দাঙ্গাকারীরা স্টেশনের ভিতরে পুলিশ কর্মীদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, আদালতের নির্দেশের পরে ওই মসজিদ ও মাদরাসা ভেঙ্গে ফেলার জন্য দলটিকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তার দাবি, এলাকার ‘অসামাজিক উপাদান’ পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকে, ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ এবং শ্যুট-অ্যাট-সাইট নীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আরও খবর

🔝